নিজস্ব প্রতিবেদক »
আজ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২১ জনের এই ভোটযুদ্ধে ওয়ার্ডবাসীর ভোটের মাধ্যমে নির্ধারণ হবে ওয়ার্ড কাউন্সিলর।
জানা গেছে, মঙ্গলবার মধ্যরাতে শেষ হয়েছে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। শেষ দিনে মধ্যরাতের আগ পর্যন্ত ব্যস্ত সময় পার করেছেন প্রার্থী এবং তাদের সমর্থকগণ। বিভিন্ন এলাকায় মিটিং শোডাউনের মধ্যদিয়ে শেষ করেছেন তাদের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা। নির্বাচন কমিশন থেকেও সকল প্রস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ভোট কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোট গ্রহণ কার্যক্রম শেষ হবে। তবে ভোটাররা চাইছেন সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন। এদিকে ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার বিষয়ে শঙ্কিত এলাকাবাসী।
তবে বারবার একটি বিষয় সামনে এসেছে এই ওয়ার্ড উপ-নির্বাচনে। ২১ জন প্রার্থীর মধ্যে ২০ জনই আওয়ামী ঘরনার এবং একজন বিএনপির। এ নিয়েই মূলত এলাকাবাসীর মধ্যে সংশয় কাজ করছে। তারা বলছেন, ‘ভোট কেন্দ্রে যাওয়া যাবে কি না তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। কারণ বেশ কিছু প্রার্থী রয়েছে যারা ভোট কেন্দ্রে ঝামেলা সৃষ্টি করার লক্ষ্যে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছেন। ভোট কেন্দ্রে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাত বাঁধতে পারে। পরিবারের নারীরা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে কোন রকম অসুবিধায় পড়ুক তা নিশ্চয়ই কোন পরিবার চাইবে না। নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা নিজেদের অবস্থান দেখাতে শোডাউন দিয়েছে। কিছুদিন ধরে এলাকায় বহিরাগতদের উপস্থিতি দেখা গেছে।’
ভোটকেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন পুলিশ, আনসার এবং র্যাব। প্রতি কেন্দ্রে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে পুলিশ-র্যাবের একটি করে টিম থাকবে। জেলা প্রশাসনের ৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার ও জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে থাকবেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ। প্রতিজন ম্যাজিস্ট্রেট তিনটি ভোটকেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, সকল কেন্দ্রে পুলিশ মোতায়েন থাকবে। সকল প্রার্থী এবং সমর্থকদের প্রতি বিশেষ নজরদারি থাকবে। তবে বিশেষ কিছু প্রার্থীদের সমর্থকদের প্রতি সব সময় কড়া নজরদারি তো থাকবেই। ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের আশাবাদী। ভোটারদের নিরাপত্তায় ভোটকেন্দ্রে সার্বক্ষণিক কাজ করবে পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, এই ওয়ার্ডে সর্বমোট ১৫টি ভোটকেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। পুরুষ ভোটারের জন্য রয়েছে ৮টি এবং নারী ভোটারের জন্য রয়েছে ৭টি ভোটকেন্দ্র। এতে মোট ভোট কক্ষের পরিমাণ ৮৬টি। অত্র ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৩২ হাজার ৪১ জন। এদের মধ্যে ১৬ হাজার ২১৬ জন পুরুষ এবং ১৫ হাজার ৮২৫ জন নারী ভোটার। নির্বাচন কমিশন থেকে ভোটগ্রহণে ১৫ জন প্রিসাইডিং অফিসার, ৮৬ জন সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার এবং ১৭২ জন পোলিং অফিসারসহ সর্বমোট ২৭৩ জন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে।
নির্বাচনের সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে জানিয়ে রিটার্নিং অফিসার আরো বলেন, ‘সকল ভোট কেন্দ্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন থাকবে। বুধবার বিকেল থেকে সকল ভোটকেন্দ্রে ইভিএম মেশিন পৌঁছে দেওয়ার কাজও শেষ হয়েছে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ভোট গ্রহণ শেষে বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।’