সুপ্রভাত ডেস্ক »
দেশ ছাড়তে কাবুল বিমানবন্দরে আফগানদের হুড়োহুড়িতে অন্তত পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আফগানিস্তানের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ সকল বেসামরিক বিমান চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেছে।
বিমানবন্দরের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হামা কারজাই বিমানবন্দরের ফাঁকা গুলি চালায় মার্কিন সেনারা। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গুলিতে না কি পদপিষ্ট হয়ে তারা নিহত হয়েছেন তা এখনও নিশ্চিত নয়।
তালেবানের কাবুল অবরোধের পর সোমবার সকালে বিমানবন্দরে ভিড় জমাতে থাকেন আফগানরা।
বিমানবন্দরের টারমাকে বিমানে উঠার জন্য হাজারো বেসামরিক আফগান নাগরিক মরিয়া হয়ে ছোটাছুটি শুরু করেন। উড়োজাহাজের সিঁড়ি বেয়ে উঠতে বহু মানুষকে ধাক্কাধাক্কি করতে দেখা যায়।
কাবুলের বাণিজ্যিক সকল বিমান পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। কেবল যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো তাদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে সামরিক বিমান পরিচালনা করছে।
রোববার, কাবুলে আফগান বাহিনী প্রবেশের পর পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের পতন ঘটে এবং প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি দেশ ছেড়ে চলে যান।
যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস ইতোমধ্যে খালি করা হয়েছে। মার্কিন পতাকাও অবনমিত রাখা হয়েছে। ১৯৭৫ সালে সায়গনের দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ঘটিয়ে দেশ ছাড়ছেন কূটনীতিকরা।
অন্যান্য পশ্চিমা দেশও তাদের মিশন বন্ধ ঘোষণা করে নাগরিক ও কর্মকর্তাদের সরিয়ে নিচ্ছে।
সোমবার সকাল অবধি কাবুলের প্রধান প্রায় সকল চেকপোস্ট তালেবানের নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত আফগানিস্তানের বেসামরিক বিমান কর্তৃপক্ষ সকল বেসামরিক বিমান চলাচল স্থগিত ঘোষণা করেছে।