কাপ্তাই উপকেন্দ্রে ১ মাসে ৫৫৫ মেট্রিক টন মৎস্য আহরণ

রাজস্ব আয় হয়েছে ১ কোটি টাকা

কাপ্তাই মৎস্য বিপণন কেন্দ্রে আনা মাছ

অর্ণব মল্লিক, কাপ্তাই (রাঙামাটি)

বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন কাপ্তাই উপকেন্দ্রে গত সেপ্টেম্বর মাসের ৩০ দিনে প্রায় ৫৫৫ মেট্রিক টন মাছ আহরণ করা হয়েছে। এতে সরকারের প্রায় ১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (২ অক্টোবর) কাপ্তাই মৎস্য আহরণ উপকেন্দ্রের কেন্দ্র প্রধান মোঃ জসীম উদ্দিন জানান, দীর্ঘ ৪ মাস পর গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ শিকার শুরু হয়। গত ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ১ মাসে কাপ্তাই উপকেন্দ্রের হিসাবে ৫৫৫ মেট্রিক টন মাছ আহরণ হয়েছে। সেই সাথে সরকারের ১ কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছে।

উপকেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা আরো বলেন, বর্তমানে কাপ্তাই হ্রদে জেলেদের মাঝে মাছ ধরা শুরুর ফলে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। তবে হ্রদে পানির পরিমাণ খুব বেশি থাকাতে মাছ ধরতে বেশ কষ্ট হচ্ছে। পানি বেশি থাকার ফলে বড় মাছও কম পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় যারা বড়শি বা জাল ফেলে মাছ ধরতো, সেখানে পানির চাপে বড়শি ও জাল ছিড়ে যাচ্ছে। ফলে এক্ষেত্রে অনেকে মাছ ধরতে হিমশিম খাচ্ছেন।

দায়িত্বপ্রাপ্ত এই কর্মকর্তা আরো জানান, জেলেরা মাছ ধরে উপকেন্দ্রে নিয়ে আসতে আসতে কারও কারও বেশ কিছু মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেন, পর্যাপ্ত বরফ মজুত না রাখায় এবং সচেতনতার অভাবে এই ঘটনা ঘটছে। এক্ষেত্রে জেলেদের এবিষয়ে সচেতন হতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত স্থানীয় জেলে রহমান আলী, সুধীর দাশ, মোঃ শফিকসহ কয়েকজন জানান, অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার কাপ্তাই হ্রদের আইড় মাছের আহরণ ও আকার বেড়েছে। তবে কাচকি ও চাপিলা ধরনের মাছ ছোট পাওয়া যাচ্ছে।

যেহেতু মৎস্য আহরণ শুরুর দিকে কাপ্তাই হ্রদে পানির পরিমাণ বেশি থাকাতে মাছ ধরতে বেগ পেতে হচ্ছে, সেহেতু কাপ্তাই হ্রদের পানি কিছুটা কমে আসলে আরো ভালো মাছ পাওয়া যাবে বলে তারা জানান।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছরের পহেলা মে থেকে ৩১ জুলাই পর্যন্ত তিন মাস কাপ্তাই হ্রদে মাছ আহরণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে জেলা প্রশাসন। কাপ্তাই হ্রদে কার্পজাতীয় মাছের সুষম বৃদ্ধি, মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতসহ জীববৈচিত্র্য রক্ষায় এ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়ে থাকে।