নিজস্ব প্রতিবেদক :
কাজ শেষের আগেই সচল ডিটি-বায়েজিদ সংযোগ সড়ক। পাহাড় ঘেরা এই সড়কের মূল কাজ শেষ হলেও এখনো বাকি রয়েছে ফিনিশিংয়ের কাজ। কিন্ত ইতিমধ্যে ফৌজদারহাট থেকে মানুষ এই সড়ক দিয়ে নগরীতে প্রবেশ করছে। তবে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) বলছে, এই প্রকল্পের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত রয়েছে। তাই এখনো পুরোদমে সচল হচ্ছে না প্রকল্পের কাজ।
গত শনিবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা যায়, ফৌজদারহাট দিয়ে লোহা বহনকারী ট্রাক ও লরি চলাচল করছে এই রোড দিয়ে। এসব গাড়ির গন্তব্য বায়েজিদ।
ফৌজদারহাট থেকে মাত্র আট মিনিটে পৌঁছা যায় বায়েজিদে। কিন্তু এ কে খান, জাকির হোসেন রোড, জিইসি ও ষোলশহর দুই নম্বর গেইট হয়ে ঘুরে বায়েজিদ আসতে প্রায় এক ঘণ্টার বেশি সময় লাগার কথা। আর যদি জ্যাম হয় তাহলে তো দুর্ভোগ আরো বাড়বে। শুধু ট্রাক বা লরি নয়, সাধারণ যানবাহনও চলাচল করছে এই রোড দিয়ে।
পাহাড় ঘেরা এই রোডটি ইতিমধ্যে ভ্রমণপ্রিয় মানুষের বেড়ানোর জায়গা হয়েছে। অনেক মানুষ প্রতিদিন বিকেলে বেড়াতে যায় এ সড়কে। সড়কটি উন্মুক্ত হয়ে যাওয়া প্রসঙ্গে প্রকল্পের পরিচালক ও সিডিএ’র নির্বাহি প্রকৌশলী রাজীব দাশ বলেন, ‘এখনো রোডের কাজ শেষ হয়নি।
ব্রিজগুলো এখনো উঁচু নিচু রয়েছে, ফিনিশিং হয়নি। এছাড়া রেললাইনের উপরে ওভার ব্রিজের কাজ বাকি রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে একটি সুপারিশ আসার কথা রয়েছে। ওই পাহাড়গুলো কিভাবে স্লোপ করতে হবে সেবিষয়ে একটি নির্দেশনা দেয়া হবে। সেসব কাজ করার পর আমরা রোডটি উদ্বোধন করবো।’
কিন্তু তাহলে যে গাড়ি চলাচল করছে? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘রাস্তা তৈরি হয়ে যাওয়ায় মানুষ শর্টকাট মাধ্যম হিসেবে এই রোডটি ব্যবহার করছে। আমরা মাঝে মাঝে বন্ধ করে দেই। আবার কাজের প্রয়োজনে খোলা হলে তারা ঢুকে যায়।’
উল্লেখ্য, পাহাড় কেটে গড়ে তোলা ডিটি-বায়েজিদ সংযোগ সড়কের কাজ শেষ হলে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও রাঙামাটি রুটের গাড়িগুলোকে আর শহরের ভেতর প্রবেশ করতে হবে না। ঢাকা থেকে আসার পথে এই রোড দিয়ে সহজে বায়েজিদ হয়ে গাড়িগুলো যাতায়াত করতে পারবে। রোডটি ডিটি রোডের ফৌজদারহাট দিয়ে প্রবেশ করে বায়েজিদ শেরশাহ মোড়ে এসে যুক্ত হয়েছে।