রুমন ভট্টাচার্য :
বাজারে কাঁচামরিচে আগুন। লাফিয়ে বাড়ছে দাম। গত সপ্তাহের চেয়ে এক লাফে কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা বেড়ে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ১৪০ থেকে ১৫০ টাকায়। তবে ধীরে কমতে শুরু করেছে সবজির দাম। গত সপ্তাহ থেকে সবজির দামে স্বস্তি মিলছে। শুধু কাঁচামরিচের দাম নয়, টমেটো, ধনেপাতা ও গাজরের দামও এখন বাড়তি। এদিকে একদফা বেড়েছে ধনেপাতার দামও।
চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিতে ৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১২৫ টাকায়। গত তিন সপ্তাহ ধরে ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে লেয়ার ও সোনালি মুরগি। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম ও মাছের দাম।
গতকাল চকবাজার কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা যায়, গাজর (দেশি) ৫০ থেকে ৬০ টাকা, আমদানি করা গাজর ও পাকা টমেটোর কেজি ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। গত সপ্তাহে ১০০ টাকায় বিক্রি হওয়া ধনেপাতার কেজি এখন ১২০ টাকা থেকে ১৪০ টাকা।
খুচরা সবজি বাজারের তথ্য অনুযায়ী, প্রতি কেজি বেগুন গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা কমে ৪০ টাকা, কাকরোল ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, কাচা পেঁপে ২০ টাকা কমে ৩০ টাকা, পটল ১০ টাকা কমে ৩০ টাকা, ঢেঁড়স ১০-১৫ টাকা কমে ২০ থেকে ২৫ টাকা, চিচিংগা ৪০ টাকা, করলা ৪০ টাকা, ঝিঙে ৪০, মুলা কেজি ৫০ টাকা, লাউ ৩০ টাকা
দরে বিক্রি হচ্ছে। বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে অপরিবর্তিত রয়েছে আলুর দাম। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৩ থেকে ৩৪ টাকায়।
সবজি ব্যবসায়ী আমিন বলেন, ‘সবজির দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ৫-১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। বাজারে সবজির সরবরাহ মোটামুটি। এছাড়া দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি ও উত্তরাঞ্চলে বন্যার কারণে সবজিখেত নষ্ট হয়েছে। না হয় দাম আরো কমতো।’
ডিমের দামও অপরিবর্তিত। গত সপ্তাহের দামেই প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১০৬ টাকা। এছাড়া দেশি মুরগির ডিম ১৭০ টাকা ও হাঁসের ডিম ১৪৫ টাকা প্রতি ডজন।
গরু ও খাসির মাংসের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। গরুর মাংস হাড় ছাড়া ৭০০ থেকে ৭৫০ ও হাড়সহ ৬০০ থেকে ৬৫০ টাকা। এছাড়া খাসির মাংস ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে স্বস্তি দিচ্ছে পেঁয়াজ ও রসুনের দাম। প্রায় ১ মাস ধরে তেমন একটা বাড়েনি এসবের দাম। আমদানি করা পেঁয়াজ কেজি ২৫ থেকে ৩০ টাকা। রসুন ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা। আদা ১২০ থেকে ১৩০ টাকা।
গত তিন সপ্তাহ ধরে মাছের দাম প্রায় অপরিবর্তিত। রুইমাছ আকার ভেদে ২০০ থেকে ২৫০, কাতলা ২০০ থেকে ৩৫০, ব্রিগেড ১৫০ থেকে ১৮০, কৈ (ফার্ম) ১৫০ থেকে ১৮০ টাকা। এছাড়া পাঙ্গাশ ১২০ থেকে ২০০, তেলাপিয়া ১০০ থেকে ১৬০, পাবদা ৩৫০-৪০০, শিং ৩০০ থেকে ৫০০, মাগুর-বড় ৫০০ থেকে ৬০০, লইট্যা ১০০ থেকে ১২০ এবং চিংড়ি ৫০০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
কিছুটা কমেছে ইলিশের দাম। কেজি সাইজের ইলিশ ১০০০ টাকা। ৫০০ থেকে ৭৫০ গ্রামের ইলিশ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং ছোট ইলিশ আকারভেদে ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা।
মাছব্যাপারী প্রদীপ দাশ বলেন, ‘বাজারে ইলিশের সরবরাহ বেড়েছে। তাই দামও কিছুটা কমেছে। সরবরাহ আরো বাড়লে দাম সামনে আরো কমবে।’
ইতোমধ্যে সাগরে মাছধরা শুরু হয়েছে বলে জানান প্রদীপ।