পশ্চিম বাকলিয়ায় আ জ ম নাছির
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে ষড়যন্ত্র ও রক্তের দাগ আছে। তাই তারা আন্দোলনের নামে নাশকতা, জ্বালাও-পোড়াও করে দেশের অগ্রগতির চাকাকে থামিয়ে দিতে চায়। পৃথিবীতে যত ধরনের অপকর্ম আছে সবগুলোর সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে। এই দলটিকে কিছুতেই রাজনৈতিক দল বলা যায় না। তারা এখনও বাংলাদেশকে স্বীকার করে না। একাত্তরের পরাজিত শক্তির সাথেই তাদের সহাবস্থান।
তিনি গতকাল ১৭ নম্বর বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের তিনটি ইউনিটের পৃথক কার্যকরী কমিটির সভায় এ কথাগুলো বলেছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, এ করোনাকালেও দেশের অর্থনীতির অগ্রগতির চাকা থেমে নেই। অনেক দেশীয় আন্তর্জাতিক ভ্রæকুটি উপেক্ষা করে বর্তমান সরকার পদ্মা সেতু দৃশ্যমান করেছে এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় কর্ণফূলী নদীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হতে যাচ্ছে। এর ফলে দক্ষিণ চট্টগ্রাম আরেকটি নতুন শহরে পরিণত হবে এবং এখানে প্রায় ১২টি রাষ্ট্র বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। আশা করা যায় বাংলাদেশ একটি উদীয়মান ব্যঘ্র হিসেবে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচিতি লাভ করবে।
তিনি আরও বলেন, সংগঠনের নেতাকর্মীদের ঘরে ঘরে গিয়ে বর্তমান সরকারের এই নজিরবিহীন অর্জন ও সাফল্যগুলোকে উপস্থাপন করতে হবে। আমাদের ব্যর্থতা, আমরা এই সাফল্যগুলোকে এখনও ঘরে ঘরে পৌঁছাতে পারিনি। আসন্ন চসিক নির্বাচনকে সামনে রেখে মেয়র পদে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হলে এ কাজটি সবচেয়ে বেশি করে করতে হবে। তৃণমূল স্তর থেকে দলের ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের নিয়ে পরিশুদ্ধ ও পরিচ্ছন্ন সাংগঠনিক নেতৃত্বের মাধ্যমে ভোটারদের মন জয় করতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও আসন্ন চসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ একটি বহুমাত্রিক গণসংগঠন। আমাদের মধ্যে মতভিন্নতা থাকতে পারে। কিন্তু বিভেদ বা কোন্দল থাকা বাঞ্চনীয় নয়। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ। নেতৃত্ব নিয়ে প্রতিযোগিতা থাকতে পারে। কিন্তু তা যেন ঐক্যের ভিত্তিকে দুর্বল করতে না পারে।
পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আওতাধীন এ ইউনিটের সভাপতি মোহাম্মদ সেলিম মিয়া, বি ইউনিটের সভাপতি মোহাম্মদ আফজাল খান ও সি ইউনিটের সভাপতি সরওয়ার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যকরী কমিটির সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, বন পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক দিদারুল আলম চৌধুরী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আবু তাহের, উপপ্রচার সম্পাদক শহীদুল আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য আবদুল লতিফ টিপু, হাজী বেলাল আহমেদ, থানা আওয়ামী লীগের হাজী শফিকুল ইসলাম, সাহাব উদ্দীন আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ইউনুছ কোম্পানি, আলী নেওয়াজ, হাজী মোহাম্মদ মুছা, আকবর আলী আকাশ, মোহাম্মদ হারুন, আবদুল হাকিম, জাহাঙ্গীর আলম রানা প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি