নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনায় আক্রান্ত হয়ে রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) জসিম উদ্দিন মজুমদার (৫৫) মারা গেছেন। তিনি চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে প্রায় এক সপ্তাহ অসুস্থতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করেন। পরে গত ১৮ মে জ্বর নিয়ে তিনি চিকিৎসার জন্য ঢাকা চলে যান। ওইদিনই তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। করোনার উপসর্গ থাকায় তার নমুনা পরীক্ষা করোনা হয়। পরে নমুনা পজেটিভ আসে। ১৮ ও ১৯ মে তিনি ওই হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বুধবার (৩ জুন) রাত ২টা ৫ মিনিটে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব এবং মূসক, নিরীক্ষা, গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ মুসফিকুর রহমান বলেন, ‘জসিম উদ্দিন মজুমদারের চিকিৎসায় তার সহকর্মী ও অ্যাসোসিয়েশন থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হয়ং। সকল চেষ্টা ব্যর্থ করে তিনি মারা যান। করোনা মহামারিতে রাজস্ব আহরণ ও রাজস্ব সেবা প্রদানের মতো রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে প্রথম একজন রাজস্ব কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। তার স্ত্রীও করোনা পজেটিভ। সন্তানরাও আক্রান্ত হতে পারেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘জসিম উদ্দিন মজুমদার আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপ, অ্যাজমা, ডায়াবেটিসসহ নানান রোগে ভুগছিলেন। চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে প্রায় এক সপ্তাহ অসুস্থতা নিয়ে তিনি দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি আরো বলেন, ‘ইউনাইটেডে করোনার ভালো চিকিৎসা না থাকায় ২০ মে তাকে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তার রক্তচাপ, ডায়াবেটিক ও অ্যাজমা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে শ্বাসকষ্ট বেয়ে যায়। চিকিৎসকের পরামর্শে ও বিসিএস (কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট) অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় ২১ মে তাকে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেও তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। অ্যাসোসিয়েশনের সহায়তায় করোনার জন্য তিন ব্যাগ প্লাজমাও দেওয়া হয়।’
এনবিআর সূত্র জানায়, জসিম উদ্দিন মজুমদার ফেনীতে ১৯৬৫ সালের ১ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। সাত ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড় তিনি। ২০০৪ সালের ৫ ডিসেম্বর চাকরিতে যোগদান করেন। তিনি মা, স্ত্রী ও দুই সন্তানসহ (মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী, ছেলে স্ট্যান্ডার্ড সেভেন) অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ফেনীর শান্তি কোম্পানি রোডের মজুমদার বাড়িতেই তাঁর দাফন সম্পন্ন হবে।
এ মুহূর্তের সংবাদ