সুপ্রভাত ডেস্ক রিপোর্ট »
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ২১২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা দেশে এক দিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এখন পর্যন্ত করোনায় মোট ১৬ হাজার ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ৩৬ হাজার ৫৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ।
সব মিলিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৫৪৩। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৬ হাজার ৪ জনের।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ২০৯ জনের। পরীক্ষা করা হয়েছে ৩৬ হাজার ৫৮৬টি। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৩০ দশমিক ৯৫ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৬৯ লাখ ৩ হাজার ২৬৮টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৬ হাজার ৩৮ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৬২ জন ৩৮৪ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ২১২ জনের মধ্যে খুলনা বিভাগেরই ৭৯ জন। এছাড়া ঢাকায় ৫৩, চট্টগ্রামে ২৬, রাজশাহীতে ২৩, বরিশালে ৫, সিলেটে ৬, রংপুরে ১২ এবং ময়মনসিংহে ৮ জন মারা গেছেন।
মারা যাওয়াদের মধ্যে ১১৯ জন পুরুষ এবং ৯৩ জন নারী। এদের মধ্যে ১৬ জন বাসায় মারা গেছেন। বাকিরা হাসপাতালে মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ১৬ হাজার ৪ জনের মধ্যে পুরুষ ১১ হাজার ২৫৪ জন এবং নারী ৪ হাজার ৭৫০ জন।
বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ৯০ জনের বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ৫৬, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ৪০, ৩১ থেকে ৪০ বছরের ১৭, ২১ থেকে ৩০ বছরের ৭ এবং ১১ থেকে ২০ বছরের ২ জন রয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৮ জুলাই) করোনায় দেশে ১৯৯ জনের মৃত্যু হয়। তার আগের দিন বুধবার (৭ জুলাই) প্রথমবারের মতো মৃতের সংখ্যা ২০০ ছাড়ায়। এদিন মৃত্যু হয় ২০১ জনের। এছাড়া গত সপ্তাহের সোমবার (৫ জুলাই) ১৬৪ ও মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ১৬৩ জন মারা যান। জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকে প্রতিদিন মারা যাচ্ছেন ১৩০ জনের বেশি মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্ত ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সেখানে বাংলাদেশে রোগী শনাক্তের হার ৩০ শতাংশ ছাড়িয়েছে।