চালু হওয়ার পরদিনই রোগীতে ঠাসা #
নিজস্ব প্রতিবেদক:
চট্টগ্রামে নভেল করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যেও চিকিৎসা দিচ্ছে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতাল। যেসব রোগীর আর্থিক সামর্থ নেই তাদের কাছ থেকে কোনো ফি নিচ্ছে না হাসপাতালটি।
চট্টগ্রামে বেসরকারি পর্যায়ে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দিতে সবার আগে এগিয়ে আসে মা ও শিশু হাসপাতাল। গত ৬ জুন থেকে হাসপাতালটি ৩৫ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড, ৩০ শয্যার কেবিন ও ৪ শয্যার আইসিইউ নিয়ে করোনার রোগীদের চিকিৎসাসেবা শুরু করে।
মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালনা কমিটির কোষাধ্যক্ষ রেজাউল করিম আজাদ সুপ্রভাতকে বলেন, এ হাসপাতালে ভর্তির নির্দিষ্ট ফি থাকলেও করোনা চিকিৎসার জন্য যেসব রোগীর আর্থিক সক্ষমতা নেই আমরা তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দিচ্ছি। এ হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা চালু করার যে নীতিমালা রয়েছে এটা তারই অংশ। এ পর্যন্ত অনেক করোনা রোগীকে কোনো ফি ছাড়া আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। চট্টগ্রামে সীতাকু- এলাকায় নাভানা গ্রুপের জমিতে গড়ে উঠা বেসরকারি ফিল্ড হাসপাতালেও করোনা রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জানা গেছে, মা ও শিশু হাসপাতালের আজীবন সদস্য এবং সরকারি-বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের অনুদানে এই চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। হাসপাতালটিতে করোনা ইউনিট চালু করতে সরকারি ও বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান অনুদান দিয়েছে।
মা ও শিশু হাসপাতালের নবনির্মিত ১১তলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এই করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড গড়ে তোলা হয়েছে। হাসপাতালটিতে করোনা রোগীদের সেবা কার্যক্রম চালু হওয়ার সাথে সাথে রোগীদের ভিড় লেগে যায়। পরদিনই ৬৫ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড (কেবিনসহ) রোগীতে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। ৪ শয্যার আইসিইউতেও শয্যা খালি নেই।
চালু হতে না হতে রোগীদের উপচেপড়া ভিড় প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কোষাধ্যক্ষ রেজাউল করিম আজাদ সুপ্রভাতকে বলেন, চট্টগ্রামের সবকটি বেসরকারি হাসপাতালের তুলনায় একমাত্র মা ও শিশু হাসপাতালে অত্যন্ত কম খরচে খুব ভালো সেবা পাওয়া যায়। আমাদের আইসিইউতে দৈনিক চার্জ হলো মাত্র সাতহাজার টাকা। অথচ নগরীর অন্য বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে ৪০ হাজার টাকার নিচে আইসিইউ ফি নেই।
তিনি বলেন, এখানকার চিকিৎসক, নার্স থেকে শুরু করে ওয়ার্ড বয়, আয়া সবাই রোগীদের আন্তরিকভাবে সেবা প্রদান করেন। তাই এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার প্রতি রোগীদের আস্থা বেশি। শয্যা খালি না থাকায় প্রতিদিন অনেক রোগী এসে ফিরে যাচ্ছে।
জানা গেছে, আইসোলেশন ওয়ার্ডের প্রতিটি শয্যায় সেন্ট্রাল অক্সিজেন সরবরাহ করা হয়েছে। এ হাসপাতালে অক্সিজেন প্ল্যান্ট রয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ছাড়া করোনার চিকিৎসা দেওয়া নগরীর আর কোনো সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে সেন্ট্রাল অক্সিজেন সিস্টেম নেই।
এ মুহূর্তের সংবাদ