নিজস্ব প্রতিবেদক :
‘চট্টগ্রামে দিন দিন করোনা সংক্রমিত রোগী ও মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। দেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রমের কেন্দ্রবিন্দু এই বন্দরনগরীতে প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষের বসবাস। বর্তমানে করোনার ভয়াবহ প্রাদুর্ভাবের কারণে এই শহরের সাধারণ জনগণ অত্যন্ত স্বাস্থ্যঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। সরকারিভাবে ৩টি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসা করলেও বিশাল জনগোষ্ঠির তুলনায় এই আয়োজন অত্যন্ত অপ্রতুল। করোনা রোগীর জন্য হাসপাতালে পর্যাপ্ত আইসিইউ, অক্সিজেন, সিলিন্ডার ও বেডের ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসার জন্য মানুষ এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটছে, কিন্তু চিকিৎসা পাচ্ছে না। চিকিৎসার অভাবে মানুষ মারা যাচ্ছে। চট্টগ্রামের মানুষের মধ্যে এখন মৃত্যু আতঙ্ক বিরাজ করছে।’
রোববার (৭ জুন) দুপুরের দিকে নগরীর কাজির দেউড়ি নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। এসময় তিনি চট্টগ্রামকে রেড জোন ঘোষণা করে কারফিউ জারিসহ চিকিৎসা সেবার ১২ দফা প্রস্তাবনা তুলে ধরেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ডা. শাহাদাত বলেন, চট্টগ্রামের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে জিম্মি করে রেখেছে একটি অতিমুনাফালোভী সিন্ডিকেট। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বর্তমানে চার হাজারের কাছাকাছি। অথচ হাসপাতালে বেড আছে মাত্র ৩১০টি। এ অবস্থায় করোনার ভঙ্গুর চিকিৎসা ব্যবস্থা নিরসন করে বৃহত্তর চট্টগ্রামবাসীকে পর্যাপ্ত সেবা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট কোভিড হাসপাতালে উন্নীত করা, চট্টগ্রামের ৬ টি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালাকে দ্রুত কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ঘোষণা করে কার্যকর প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা, বন্দর হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল ও কর্পোরেট ইম্পেরিয়াল হাসপাতালকে পরিপূর্ণ কোভিড হাসপাতাল হিসেবে অতিদ্রুত করোনা চিকিৎসার উপযোগী করা এবং যেসব বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে আইসিইউ সুবিধা আছে সেগুলো সরকার অধিগ্রহণ করে করোনা চিকিৎসার সুবিধার্থে ক্লিনিক মালিকদের সাথে বসে ডাক্তার ও কর্মচারীদের উপযুক্ত সম্মানী বাবদ মাসিক বাজেট প্রদান করাসহ ১২ টি প্রস্তাবনা তুলে ধরা হয় সংবাদ সম্মেলনে।
তিনি আরো বলেন, করোনা মোকাবেলায় আঞ্চলিকভাবে “চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স” গঠন করে রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠে দলমত নির্বিশেষে সমস্ত রাজনীতিবীদ, পেশাজীবী, সেবাপ্রদানকারী সংস্থার প্রধান ও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মধ্যে সমন্বয় করতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, উপদেষ্টা জাহিদুল করিম কচি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস.এম. সাইফুল আলম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াছিন চৌধুরী লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক ইদ্রিস আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।