সুপ্রভাত ডেস্ক :
করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে প্রায় পাঁচ মাসের বেশি সময় ধরে বন্ধ রয়েছে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সবশেষ এক সরকারি নির্দেশনায় বলা হয়েছিল ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে৷ কিন্তু সেপ্টেম্বরেও স্কুল খোলার মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলে জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা অধিদফতর। অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোহাম্মদ গোলাম ফারুক বলেছেন, কবে নাগাদ স্কুল খুলবে সেটি এখনও নিশ্চিত নয়। খবর বিবিসি বাংলার
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসার ওপর এটি নির্ভর করছে বলে তিনি জানান। “ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসায় স্কুল এখনই খোলা হবে না। কবে নাগাদ খুলবে সেটাও এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। সবই নির্ভর করছে করোনাভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে এসেছে কিনা, সেটার ওপরে।”
এদিকে করোনাভাইরাস মহামারীর আগেই বাংলাদেশে মাধ্যমিক পরীক্ষা (এসএসসি) অনুষ্ঠিত হয়ে যায় এবং ফলও প্রকাশ পায়৷ কিন্তু ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ায় অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে অষ্টম শ্রেণীর শেষে জেএসসি বা জুনিয়র সার্টিফিকেট পরীক্ষা এবং এইচএসসি বা উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা।
এই দুটি পরীক্ষায় চলতি বছরের এপ্রিলে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাংলাদেশে ২৬শে মার্চ থেকেই আনুষ্ঠানিক লকডাউন শুরু হয়। স্কুলগুলো বন্ধ রাখা হয় ১৭ই মার্চ থেকে। মে মাসের শেষে এসে লকডাউন তুলে দেয়া হলেও করোনাভাইরাসের সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বমুখী থাকায় ওই দুটি পরীক্ষা আয়োজন থেকে পিছিয়ে আসে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
কবে পরীক্ষা হবে তবে তা এখনো চূড়ান্ত নয়৷ এটাও নির্ভর করছে পরিস্থিতির ওপর। তবে মি. ফারুক বলেছেন, যে মুহূর্তে মনে হবে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এসেছে এবং আমাদের শিক্ষার্থীরা মোটামোটি নিরাপদ তারপর এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠানের কথা ভাবা হবে। পরীক্ষার ১৫ দিন আগে শিক্ষার্থীদের তা জানানো হবে বলে তিনি উল্লেখ করেছেন। এছাড়া শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অর্থাৎ এক শিক্ষার্থী থেকে আরেক শিক্ষার্থীর মাঝে দূরত্ব রেখে পরীক্ষা নেয়া হবে।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রয়োজনে কেন্দ্রের সংখ্যা বাড়িয়ে এই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে বলে জানান মি. ফারুক। এ নিয়ে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করা হচ্ছে বলে জানা গেছে৷
এদিকে পঞ্চম শ্রেণি শেষে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাও অনুষ্ঠিত হবে কিনা সেটা নিয়েও অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। যদি এরমধ্যে স্কুল খুলে যায় তাহলে এই পরীক্ষা নেয়া হবে, না হলে বিকল্প অন্য কোন উপায়ে মূল্যায়ন বা সমাপনী পরীক্ষা নেয়া হবে বলে জানান মি. ফারুক।
এর আগে পিএসসি এবং জেএসসি পরীক্ষা না নেয়ার ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত সপ্তাহে মতামত পাঠানো হয়েছিল৷