নিজস্ব প্রতিবেদক
করোনায় গত কয়েকদিন ধরে আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ এর বেশি করে হচ্ছে। বুধবার ২১৫ জন করোনায় আক্রানেত্মর পর বৃহস্পতিবার আক্রান্ত হলো ২২৯ জন। চট্টগ্রামের তিন ল্যাব (ফৌজদারহাটের বিআইটিআইডি, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ) এবং কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ৪৫৭ নমুনার মধ্যে ২২৯টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। নতুন করে আক্রান্ত হওয়া ২২৯ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৮৫ জন ও বিভিন্ন উপজেলার ৪৪ জন। আর এতে চট্টগ্রামে মোট করোনা রোগীর সংখ্যা ২ হাজার ৪২৯ জন, এদের মধ্যে সুস’ হয়েছেন ১৯৭ জন ও মারা গিয়েছেন ৬৭ জন।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামে ফৌজদারহাটে বিআইটিআইডি ল্যাবে ৮৪ টি নমুনায় ৩৬ জন করোনা পজিটিভ হয়েছেন। এই ৩৬ জনের সবাই মহানগরীর। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪৫টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ১৩৯ জনের। এই ১৩৯ জনের মধ্যে ১৩২ জন মহানগরীর এবং ৭ জন বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১০৬টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ হয়েছে ৪২টি । এই ৪২টির মধ্যে ১৭টি মহানগরীর এবং উপজেলার ২৫টি রয়েছে। কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২২টি নমুনার মধ্যে ১২ পজিটিভ পাওয়া গেছে, এগুলো উপজেলার।
এদিকে উপজেলার ৪৪ জন রোগীর মধ্যে- লোহাগাড়ায় সাতজন,সাতকানিয়ায় পাঁচজন, পটিয়ায় একজন, বোয়ালখালীতে দুই জন, রাউজানে দুইজন, হাটহাজারিতে ২৬ জন ও সীতাকুন্ডে একজন রয়েছেন।
এদিকে নতুন করে ২২৯ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ২,৪২৯ জন। এর আগে ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিলস্না ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।
## ২৮ মে ২০২০ ##