সুপ্রভাত ডেস্ক :
যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রমণ রোগ বিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ এন্থনি ফাউচি বলেছেন, করোনা ভাইরাস নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মারাত্মক সমস্যা মোকাবেলা করছে। এদিকে রেকর্ড ভাঙা করোনা সংক্রমণের কারণে টেক্সাস ও ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে বারসমূহ বন্ধ করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বিশ্বে যুক্তরাষ্ট্রে সংক্রমণ ও মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। দেশটিতে এ পর্যন্ত প্রায় ১ লাখ ১৫ হাজার লোক করোনায় মারা গেছে।
ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স শুক্রবার বলেছেন, একদিনে নতুন সংক্রমণের সংখ্যা ৪০ হাজার দাঁড়িয়েছে। পরিস্থিতি মারাত্মক বিবেচনায় হোয়াইট হাউস করোনা ভাইরাস টাস্ক ফোর্স দুই মাস পর শুক্রবার যে বৈঠকে বসে সেখানে ফাউচি করোনা মোকাবেলায় সকলকে একযোগে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতির অবসান ঘটানো যায় কেবলমাত্র একযোগে কাজ করার মধ্যদিয়ে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে তড়িঘড়ি সবকিছু খুলে দেয়া। সংক্রমণ তাড়াতাড়ি ঠেকানো না গেলে যে অংশে কমেছে সেখানে আবার দেখা দেবে বলেও তিনি সতর্ক করেন।
এদিকে ট্রাস্ফফোর্স ব্রিফিংয়ে ঠিক উল্টো সুরে কথা বলেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তিনি বলেন, আমরা খুব ভালো অবস্থানে আছি। সত্যটা হলো আমরা সংক্রমণের গতি ধীর করতে পেরেছি।
একইসঙ্গে তিনি ওকলাহোমা ও আরিজোনায় ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশকে সমর্থন করে বলেন, বাক স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করার অধিকার যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানে রয়েছে এবং সামনে আমাদের নির্বাচন।
গত সপ্তাহে আরিজোনা ও ওকলাহোমায় ট্রাম্পের নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইনডোর আয়োজন হলেও সমাবেশে অংশ নেয়া অনেকেই মাস্ক পরেনি এবং সামাজিক দূরত্বও মানা হয়নি।
টেক্সাসে সংক্রমণ তীব্রভাবে বেড়ে যাওয়ায় বারসমূহ বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ অঙ্গরাজ্যে দিন দশেক আগেও একদিনে সংক্রমণের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ২৫৪ জন। কিন্তু বৃহস্পতিবার এ সংখ্যা ছিল ৫ হাজার ৫ শ ৯৬ জন। এর জন্যে রাজ্য গভর্ণর বারে লোকজনের জড়ো হওয়াকে দায়ি করেন।
ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যে শুক্রবার রেকর্ড ৮ হাজার ৯শ ৪২ রোগী শনাক্ত হয়েছে। নতুন করে মারা গেছে ৩৯ জন এবং হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে আরো ২১২ জন।
এদিকে দেশটিতে নতুন সংক্রমণের এ ধারাকে এপ্রিলের শিখরের সাথে তুলনা করা হচ্ছে। কিন্তু মৃত্যুর সংখ্যা সেরকম নয়। এর কারণ হিসেবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তরুণরা অধিক বেশি হারে সংক্রমিত হচ্ছে বিধায় মৃত্যুর সংখ্যা আগের মতো বাড়েনি।
এছাড়া ডাক্তারদের অভিজ্ঞতা বাড়াও মৃত্যুর সংখ্যা কমে যাওয়ার কারণ বলে মনে করা হচ্ছে।