কবিতা

চাঁদের ঠিকানায়

নিঃশব্দ আহমদ

ছুটে চলেছ তুমি চাঁদের পিছু পিছু,
নীল নীল নক্ষত্রের মাঝে উড়তে থাকা
ওই যে যাযাবর চাঁদ সেই এক,
যার দেহে লেগে আছে একাকীত্বের ঘ্রাণ।
স্বপ্ন সব গিয়েছে পুড়ে সূর্যের তাপে,
গিয়েছে পুড়ে তার আরশি হৃদয়,
সেই পোড়া ক্ষত ঝরে পড়ে সমুদ্রের জলে।
তোমারও বুকেতে কি ছিল এমন ক্ষত?
ছিল কি সেই একই একাকীত্বের ঘ্রাণ?
তাই বুঝি চলে গেছো অরণ্যের নির্জনতার মাঝে?
যেখানে পিয়াশাল পিয়ালের পল্লব ভেদ করে
জোছনার অপরূপ কারুকার্য ভাসে নির্জনতার খিলানে।
অরণ্যের নির্জনতায় ভাসছ তুমি,
হাঁটছ কোনো এক অসিপত্রবনে,
ফালা ফালা হয়ে কাটছে দুই পা
তবু তোমার অবসর নেই থামবার।
চাঁদের পিছু পিছু হাঁটছ তুমি,
করছ ধাওয়া ওই দূরবাসী চাঁদ,
যে চাঁদের ঠিকানায় পাঠিয়েছ তুমি
তোমার সেই ঝুলে থাকা বিবর্ণ শব।

 

আহ্লাদ

জি বি এম রুবেল আহম্মেদ

নিমিষেই দুঃখগুলো বাসা বেঁধে
জমা হয় পাহাড় সমান
ফুরিয়ে যায় জীবনের যত আহ্লাদ ।
চলন্ত ট্রেনও থমকে দাঁড়ায়
অচেনা কোনো এক স্টেশনে
সেখানেও কষ্টরা অপেক্ষায় থাকে
দুঃখের যাত্রী সারি দীর্ঘ করে।
ফেলে আসা শৈশবে হারিয়ে গেছে
মানব জীবনের সবটুকু আহ্লাদ
দিন যত যায় ভারী হয় মনস্তাপ।

 

সামনে দুপুর

বশির আহমেদ

বাবলার ফুলঠোঁটে উড়ে যায় দুপুরের পাখি,
অসামান্য আকাশে উজালা মেঘের রং।
অফুরন্ত সবুজের পৃথিবী ঘিরে মাঝে মাঝে ছেয়ে যায় বিষাদগীতি!
আমার গ্রাম কবিতার মতো,
এখানে বনগাঁদা ফোটে।
গোমতীর তীরে সরিষা খেতে ঘুঙুর পায়ে নন্দিনী হেঁটে যায়,
দুচোখে তার আলুথালু পৃথিবীর মায়াবী স্বপন।