কবিতা

মাতাল জোছনায়

আরিফ চৌধুরী

মধ্য দুপুরে সবুজাভ বাতাসে
নাচে শান্তির পারাবাত
হেঁটে যায় স্বপ্নচারী মানুষ
সুন্দরের নামে প্রেত নৃত্য করে
কুহুকছায়া,
রাতে তুরুক্ষ ডাকে ঘরের উঠোনে
এই বুঝি নামলো এক অলাতকাল।

অনিকেত বেলায় জীবনের জোছনা প্রহরে
ফোটাতে চায় কেউ জুঁইফুল
পোড় খাওয়া মানুষের অসুখী
মনের যন্ত্রণায়
কষ্টের পাথর ভাঙে কুটিল পথে।

প্রতিদিন অসুরের মতো সময়ের সঙ্গে
যুদ্ধে মাতে দিনযাপনের সময়
নেশায় মাতাল রাত্রির ইথার তরঙ্গে
বাজে রাগিনীর সুর
মেঘ ভাঙা রাতের সূর্যের জোছনায়
জীবনের মাতাল পথচলা
থেমে নেই কারো এই মাতাল বসন্তে।

 

 

মানুষের ক্রোধ পোড়েনা

জিন্নাহ চৌধুরী

সবকিছুই একদিন পুড়ে যায়
ঘরবাড়ি, অট্টালিকা, স্বপ্নের কাগজ গলে যায়।
অগ্নিশিখা গিলে খায় ইতিহাসের বুক,
অবশেষে থাকে শুধু ধোঁয়া,
থেকে যায় ছাইয়ের স্তব্ধতার সুখ।
মানুষের ক্রোধ-
জ্বলে না, নির্বাপিত হয় না।
বরং বুকের ভেতর হয় আগ্নেয়গিরি
দিনে দিনে জমে ওঠা অগ্নিলাভায়
মানুষ নিজেকে পুড়িয়ে ফেলে। প্রতিদিন
সেই ক্রোধের হিংস্র থাবায়।
ক্রোধ ছাই হয়ে যাওয়ার প্রহর গণনা
যেখানে মানুষ নিজেই নিজের ভস্মিভূত সাক্ষী।

 

 

অভিমান

দীপান্বিতা পালিত

তোমার কথা ভুলেই গেছি আমি
ভাসিয়ে নিয়েও ফেরায় যেমন ঢেউ
তবুও আজ সন্ধ্যে নেমে এলে
আমার পাশে দাঁড়ায় এসে কেউ।

বারান্দাতে একলা যখন বসি,
চায়ের কাপে চুমুক, প্রিয় বই
বাইরে কেমন আবছায়া মেঘ ভাসে-
ছায়ার মত সরছে কি কেউ ওই!

ভুলে গেলেই সবটা কি যায় ভোলা?
বৃষ্টি নামে বাইরে নাকি চোখে?
রঙিন, বিকেল, মেঘলা দুপুর ভেজে
অভিমানের পাহাড় জমে বুকে।