সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
বিপিএলকে এবার ঢেলে সাজিয়েছে বিসিবি। পুরনো দিনের অব্যবস্থাপনা শুধরে যতটা সম্ভব গোছানো আয়োজন কুড়িয়েছে প্রশংসা। এমনকি দর্শক-সমর্থকদের কথা মাথায় রেখে এবার তিন শহরে হয়েছে ট্রফি ট্যুর, মিউজিক ফেস্টের মতো আয়োজন। যদিও তামিম ইকবাল মনে করেন, কনসার্ট বা এমন আয়োজনে বিনিয়োগ না করে ক্রিকেটে বিনিয়োগ করা উচিৎ ছিল বিসিবির। বিপিএলের মেগা কনসার্টে কয়েক কোটি টাকা খরচ হয়েছে বিসিবির। গুঞ্জন রয়েছে, ঢাকা পর্বের মিউজিক ফেস্টে রাহাত ফতেহ আলী খানকে নাকি দেওয়া হয়েছে বিপিএলের চ্যাম্পিয়ন দলের প্রাইজমানিরও বেশি পারিশ্রমিক। এদিকে ধারাভাষ্য প্যানেল নিয়ে এবারো আছে অসন্তোষ। তামিম মনে করেন, কনসার্ট বা এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ না করে মাঠের ক্রিকেটকে আরও আকর্ষণীয় করে তুললে বলা যেতে পারে উন্নতি করেছে বিপিএল। তিনি বলেন, ‘সত্যি কথা বলতে কনসার্ট ছাড়া অন্যরকম কিছু দেখিনি। অন্যরকম বিপিএল যদি করতে হয় বিনিয়োগ করতে হবে ক্রিকেটে। এটাই বেশি জরুরী। টুর্র্নামেন্টে বিনিয়োগ করতে হবে, কনসার্টে নয়। টুর্নামেন্টে বিনিয়োগ করলে বলতে পারব নতুন বিপিএল। কনসার্ট আগেও হয়েছে এখনও হচ্ছে, দারুণ অনুষ্ঠান হয়েছে যা দেখেছি, ছিলাম না দেশে। তবে এখনই কিছু বলা উচিৎ নয়। জানি না কাল কী আছে আমাদের জন্য। এতটুকুই বলতে পারি, আমার পরামর্শ যদি কেউ চায় বলব টুর্নামেন্টে, ক্রিকেটে বিনিয়োগ করে বিপিএল পরিবর্তন করুন।’
সেই ক্রিকেটে বিনিয়োগের জন্য কী কী করতে হবে, তামিম তা-ও খোলাসা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ক্রিকেট কেমন হবে এটা নির্ভর করে খেলোয়াড়রা কেমন খেলছে। আয়োজকদের হাতে থাকে না। তাদের হাতে কী থাকে? সেরা সুবিধা দেওয়া, ভালো উইকেট তৈরি করা, নিশ্চিত করা বিশ্বের সেরা ধারাভাষ্যকাররা আসছেন। বিশ্বের সবচেয়ে উন্নতি প্রযুক্তি, ক্যামেরা নিয়ে আসা। যারা দায়িত্বে বসে আছেন এটা ওদের কাজ। খেলা ২০০ রানের হবে নাকি ৬০ রানের এটা উনারা বুঝতে পারবেন না, এটা খেলোয়াড়দের নিতে হবে। এর বাইরের কাজ উনাদের দায়িত্ব। এগুলো ভালোভাবে করলে, আমরা আমাদের কাজ ভালোভাবে করলে সফল বলা যেতে পারে।’



















































