নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
কক্সবাজার শহরের হোটেল-মোটেল জোন ‘সি আলিফ’ নামে একটি আবাসিক হোটেলের ৪১১ নম্বর কক্ষ থেকে মা-মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুর ২টায় মরদেহ দুটি উদ্ধার করা হয়।
কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, নিহত সুমা দে (৩৫) বাশঁখালীর বাসিন্দা। তিনি গত ১৪ ফ্রেব্রুয়ারি দুই ছেলে ও এক মেয়েসহ স্বামীর সঙ্গে ‘সি আলিফ’ আবাসিক হোটেলে রুম ভাড়া নেন। তারা কয়েক দিন কক্সবাজার শহরে ঘুরে বেড়ান। শুক্রবার সকালে হঠাৎ তাদের রুম খোলা দেখে হোটেল বয় গিয়ে দেখেন মা ও মেয়ের (৪) মরদেহ পড়ে আছে। পরে হোটেল কর্তৃপক্ষ ৯৯৯-এ কল দিয়ে জানালে আমরা ঘটনাস্থলে আসি। ঘটনার পর দুই ছেলে নিয়ে লাপাত্তা স্বামী।
তবে কী কারণে এমন হত্যাকা- তার রহস্য বের করার চেষ্টা চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
হোটেলের রেজিস্ট্রারে সুমার স্বামীর পরিচয়দানকারী ব্যক্তির নাম জেমিন বিশ্বাস লেখা রয়েছে। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলায়।
অপর দুই সন্তানের নাম জানা না গেলেও তাদের একজনের বয়স আড়াই থেকে তিন বছর এবং অপরজনের বয়স হবে পাঁচ-ছয় বছর।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কক্ষটির দরজা বাইরে থেকে খোলা ছিল। গৃহবধূর গলায় আঘাতের সামান্য চিহ্ন পাওয়া গেছে। তার শরীর কালো হয়ে গেছে। শিশুর শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, হত্যার পর স্বামী পরিচয়দানকারী জেমিন বিশ্বাস পালিয়ে গেছেন। সঙ্গে বাকি দুই শিশুকে নিয়ে গেছেন।
হোটেলের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) মোহাম্মদ ইসমাঈল বলেন, মঙ্গলবার স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে তিন শিশুসহ সুমা দে ও জেমিন বিশ্বাস হোটেলে উঠেন। সুমা দে তার জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দিয়েছেন। স্বামী পরিচয়দানকারী ব্যক্তির কাছে এনআইডি ছিল না; তিনি মোবাইল নম্বর দিয়েছেন।