সুপ্রভাত ডেস্ক »
দুর্নীতি ও অর্থ আত্মসাতের মোট ছয়টি নির্দিষ্ট অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) মুখোমুখি হয়েছিলেন কক্সবাজার পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান।
রোববার (২০ মার্চ) দুপুর ১টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত প্রায় চার ঘণ্টা দুদকের প্রধান কার্যালয়ে উপ-পরিচালক আলী আকবর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে সাংবাদিকদের এড়িয়ে যান মজিবুর রহমান। সাংবাদিকদের নানা প্রশ্নের জবাবে তিনি ছিলেন নিশ্চুপ। পরে সাদা রংয়ের একটি গাড়িতে দুদক কার্যালয় ত্যাগ করেন তিনি।
এ বিষয়ে দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) মোজাম্মেল হক খান বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে অনুসন্ধান কর্মকর্তা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। অনুসন্ধানে অভিযোগ প্রমাণিত হলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দুদক সূত্রে জানা যায়, মো. মজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ঘুষ গ্রহণ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগের মধ্যে রয়েছে, কক্সবাজারের সুগন্ধা পয়েন্টের সরকারি খাস জমির ওপর ৬০টি দোকান ঘর ও ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কলাতলীর সরকারি খাস জমিতে কাঁচা ভবন নিৰ্মাণ; ব্যক্তি মালিকানাধীন ১০টি হোটেল ও রিসোর্ট দখল ও অর্থ উত্তোলন, অনিয়মের মাধ্যমে কক্সবাজার ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে অর্থ উত্তোলন; ২৬টি মেগা প্রকল্পের জমি অধিগ্রহণে উৎকোচ গ্রহণ; উৎকোচ গ্রহণপূর্বক কক্সবাজারে দুটি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়নের নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্য এবং কক্সবাজার পৌরসভার ৪৪টি উন্নয়নমূলক কাজ থেকে ১০ শতাংশ সুদ গ্রহণসহ সরকারি অর্থ সম্পত্তি আত্মসাৎ।
সূত্র : ঢাকা পোস্ট