সুপ্রভাত ডেস্ক »
পর্যটন শহর কক্সবাজারে জেঁকে বসেছে শীত। হিমশীতল হাওয়ায় প্রকৃতি জুড়ে বইছে শীতের পরশ। শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চলতি বছরের মধ্যে কক্সবাজারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়ার সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী আগামী কয়েক দিনে তাপমাত্রা আরও কমতে পারে।
জেলা আবহাওয়া অধিদপ্তরের সহকারী আবহাওয়াবিদ আব্দুল হান্নান বলেন, বর্তমানে যে শীতের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে, তা আগামী আরও দুই থেকে তিন দিন অব্যাহত থাকতে পারে। এ সময় রাত ও ভোরে শীতের অনুভূতি আরও বেশি হতে পারে।
সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কুয়াশা ছিল। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কিছুটা রোদের দেখা মিলতে শুরু করেছে। জনজীবনে শীতের প্রভাব পড়লেও ছুটির আনন্দে প্রকৃতির নান্দনিকতা উপভোগে ব্যস্ত দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা লাখো পর্যটক। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বড়দিন উপলক্ষে ছুটি, সব মিলিয়ে শনিবার পর্যন্ত টানা তিন দিনের ছুটিতে প্রায় তিন লক্ষাধিক পর্যটকের সমাগম ঘটেছে বলে জানিয়েছেন পর্যটন শিল্প সংশ্লিষ্টরা।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, শহরে এক দিনে প্রায় দুই লক্ষাধিক পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। টানা ছুটি থাকায় এই মুহূর্তে কোথাও কোনো রুম খালি নেই। বছরের শেষ দিন ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়তি চাপ থাকবে বলে মনে হচ্ছে।
পরিবার-পরিজন ও বন্ধু-বান্ধব নিয়ে অবকাশ যাপনে আসা পর্যটকেরা উৎসবের আমেজে উচ্ছ্বাসে সৈকতের লাবণী, সুগন্ধা ও কলাতলী পয়েন্টে একান্ত সময় কাটাচ্ছেন।
নীলফামারীর ডোমার থেকে আসা শামীমুল ইসলাম বলেন, আমাদের এলাকায় শীতের মৌসুমে অতিরিক্ত ঠান্ডা থাকে। কক্সবাজারে শীত লাগলেও এক ধরনের উষ্ণতা আছে, যা আমার কাছে দারুণ মনে হয়। পরিবার নিয়ে তাই চলে এসেছি, দুই দিন থাকব।
শুধু শহর নয়, জেলার অন্যান্য পর্যটন স্পট যেমন ইনানী, পাটুয়ার টেক, হিমছড়ি ও সেন্টমার্টিনেও অসংখ্য পর্যটক ঘুরে বেড়াচ্ছেন। মেরিন ড্রাইভ সড়কে সংস্কারকাজ চলমান থাকায় সাময়িক ভোগান্তিতেও পড়তে হচ্ছে পর্যটকদের।
ঢাকার আমিনুল খন্দকার বলেন, মেরিন ড্রাইভ সড়কটা খুব সুন্দর। কিন্তু গতকাল দেখলাম সেখানে কাজ চলছে। পর্যটন মৌসুমের আগেই মেরামত করা হলে ভালো হতো। আশা করি দ্রুত কাজ শেষ হবে এবং আমাদের মতো পর্যটকদের ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
এদিকে সেন্টমার্টিনের টিকিট জালিয়াতি দমনসহ পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রশাসনের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। গতকাল যাত্রী পরিবহনে কারসাজির অভিযোগে একটি জাহাজকে এক লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানজিলা তাসনিম জানান, সেন্টমার্টিন কেন্দ্রিক ১২টি নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভ্রাম্যমাণ আদালত প্রতিদিন তদারকি করছে। একই সঙ্গে আগত পর্যটকদের ভ্রমণ নির্বিঘ্ন করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সব সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।
যেকোনো অভিযোগ থাকলে পর্যটকদের জন্য নির্ধারিত হেল্পলাইন ০১৩২০১৬০০০০ নম্বরে যোগাযোগ করলে টুরিস্ট পুলিশের সহায়তা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ।



















































