দীপন বিশ্বাস, কক্সবাজার »
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে প্রতিমা বির্সজনকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার সনাতনী সম্প্রদায়ের নর-নারীর মিলনমেলা ঘটেছে। শুধু সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন এই প্রতিমা বির্সজন দিতে সমবেত হয়নি। এসময় নানা সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রাণবন্ত উপস্থিতি বির্সজন অনুষ্ঠানকে আরো বেশি আনন্দদায়ক করে তোলে। বির্সজন অনুষ্ঠানকে ঘিরে বহু বিদেশিদেরও উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার বিকালে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ধীরে ধীরে পৌরশহর এবং সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিমা বির্সজন দিতে প্রতিমা নিয়ে আসতে শুরু করে পূজারিরা।
ঢাক, ঢোল, তবলা, বাঁশি, কাঁসরসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সৈকতে ভিড় জমায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তারা একে-অপরকে রং ছিটিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন। অনুষ্ঠানস্থল এসময় আরতির তালে মোহ মোহ শব্দে আন্দোলিত হয়ে ওঠে। সূর্য প্রায় অস্তমিত হওয়ার প্রাক্কলে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ৫টার মধ্যেই সৈকতের লাবণী পয়েন্টের এক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এ সময় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরাও ভিড় করেন কক্সবাজার সৈকতে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারে সাধারণত কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের ভিড় জমে। পর্যটকরা বাড়তি আনন্দ পেয়ে আরো বেশি আনন্দে বুক ভাসায়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয়দের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।
বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন। জেলা পুলিশের পাশাপাশি, বিচকর্মী, ট্যুরিস্ট পুলিশ, র্যাব, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ও সাদাপোশাকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতের মুক্তমঞ্চে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার পৌরসভার সহযোগিতায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজারের সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের এই অনুষ্ঠানটি দেশের অন্যতম বড় অনুষ্ঠান। আর এ বিসর্জন অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলা প্রমাণ করে, এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি। কোনো অপশক্তি যেন কারো গায়ে আঁচড় না লাগতে পারে সেদিকে সকলকে দৃষ্টি রাখার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
দীপন বিশ্বাস, কক্সবাজার
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্টে প্রতিমা বির্সজনকে কেন্দ্র করে হাজার হাজার সনাতনী সম্প্রদায়ের নর-নারীর মিলনমেলা ঘটেছে। শুধু সনাতনী সম্প্রদায়ের লোকজন এই প্রতিমা বির্সজন দিতে সমবেত হয়নি। এসময় নানা সম্প্রদায়ের লোকজনের প্রাণবন্ত উপস্থিতি বির্সজন অনুষ্ঠানকে আরো বেশি আনন্দদায়ক করে তোলে। বির্সজন অনুষ্ঠানকে ঘিরে বহু বিদেশিদেরও উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে।
শুক্রবার বিকালে সৈকতের লাবণী পয়েন্টে ধীরে ধীরে পৌরশহর এবং সদর উপজেলা ছাড়াও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিমা বির্সজন দিতে প্রতিমা নিয়ে আসতে শুরু করে পূজারিরা।
ঢাক, ঢোল, তবলা, বাঁশি, কাঁসরসহ নানা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশে সৈকতে ভিড় জমায় সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। তারা একে-অপরকে রং ছিটিয়ে আনন্দ-উল্লাসে মেতে ওঠেন। অনুষ্ঠানস্থল এসময় আরতির তালে মোহ মোহ শব্দে আন্দোলিত হয়ে ওঠে। সূর্য প্রায় অস্তমিত হওয়ার প্রাক্কলে বৃষ্টি উপেক্ষা করে ৫টার মধ্যেই সৈকতের লাবণী পয়েন্টের এক কিলোমিটার এলাকা লোকে লোকারণ্য হয়ে যায়। এ সময় দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা ভ্রমণপিপাসু পর্যটকরাও ভিড় করেন কক্সবাজার সৈকতে। বৃহস্পতি ও শুক্রবারে সাধারণত কক্সবাজার সৈকতে পর্যটকদের ভিড় জমে। পর্যটকরা বাড়তি আনন্দ পেয়ে আরো বেশি আনন্দে বুক ভাসায়। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে স্থানীয়দের উপস্থিতিও ছিল লক্ষণীয়।
বিসর্জন অনুষ্ঠানকে ঘিরে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা গ্রহণ করে জেলা প্রশাসন। জেলা পুলিশের পাশাপাশি, বিচকর্মী, ট্যুরিস্ট পুলিশ, র্যাব, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক টিম ও সাদাপোশাকে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
বিসর্জন উপলক্ষে সৈকতের মুক্তমঞ্চে জেলা পূজা উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার পৌরসভার সহযোগিতায় এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, বিশ্বের দীর্ঘতম কক্সবাজারের সৈকতে প্রতিমা বিসর্জনের এই অনুষ্ঠানটি দেশের অন্যতম বড় অনুষ্ঠান। আর এ বিসর্জন অনুষ্ঠানে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের মিলনমেলা প্রমাণ করে, এ দেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। বর্তমান সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর বলেও জানান তিনি। কোনো অপশক্তি যেন কারো গায়ে আঁচড় না লাগতে পারে সেদিকে সকলকে দৃষ্টি রাখার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি অ্যাডভোকেট রনজিত দাশ। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ, পুলিশ সুপার মো. হাসানুজ্জামান, টুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার মো. জিল্লুর রহমান, আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।