সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
ফিফার অর্থায়নে কক্সবাজারের খুনিয়াপালংয়ে একটি অত্যাধুনিক টেকনিক্যাল সেন্টার তৈরির জন্য বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনকে (বাফুফে) ছাড়পত্র দিয়েছিল পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়। টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মানের জন্য ২০ একর জমি বরাদ্দ পেয়েছে বাফুফে। গতকাল বাফুফের নিকট বরাদ্দকৃত জমি হস্তান্তর করেছে খুনিয়াপালং মৌজা বন অধিদপ্তর। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাফুফে সহ-সভাপতি ও ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান মো: আতাউর রহমান ভূইয়া (মানিক), বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ, কক্সবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সাইমুন সারোয়ার কোমল, কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রনালয়ে যুগ্ম সচিব কে এম আলী রেজা। ফিফার রিজিওনাল অফিস ডেভলপমেন্ট ম্যানেজার প্রিন্স রুফুসও উপস্থিত ছিলেন জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে। এছাড়াও জমি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কক্সবাজারের স্থানীয় প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। খবর বাংলানিউজের
ফিফা গত ডিসেম্বরের মধ্যেই টেকনিক্যাল সেন্টারের জন্য জায়গা ঠিকঠাক করতে নির্দেশ দিয়েছিল। সেটা পারেনি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ ও বাফুফে। ফলে বাফুফেকে দ্রæতই জায়গা ঠিক করার তাগিদ দিচ্ছিল ফিফা। এবার জমি বুঝে পেয়েছে বাফুফে।
দ্রæতই টেকনিক্যাল সেন্টারের নির্মাণের কাজ শুরু হবে বলে আশাবাদী বাফুফের সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগ। তিনি বলেন, ‘আমাদের গত ডিসেম্বরেই জমির জন্য তাগিদ দিচ্ছিল ফিফা। দেরি হলেও আমরা জমি বুঝে পেয়েছি। আশা করছি দ্রæতই টেকনিক্যাল সেন্টারের কাজ শুরু হবে। ’
‘টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মানে ফিফা নিজেরাই আগ্রহী। তারা দ্রæতই এই কাজ শুরু করতে চায়। কিছু অফিশিয়াল আনুষ্ঠানিকতা বাকি আছে, এরপরই দ্রæতই টেকনিক্যাল সেন্টারের কাজ শুরু হবে। ’
এ টেকনিক্যাল সেন্টার নির্মাণের জন্য ফিফার ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় প্রায় ৩০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানানো হয়েছে। অত্যাধুনিক এই টেকনিক্যাল সেন্টারে থাকবে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা। বয়সভিত্তিক দলগুলোর ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের পাশাপাশি জাতীয় দলের কার্যক্রমও পরিচালিত হবে সেখানে।