নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :
কক্সবাজারে একদিনে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারী সহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যু হওয়া রোগীরা হলেন- কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলী ইছুলুর ঘোনা এলাকার মো. এছারুল করিম (৩৫), শহরের মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার মোহাম্মদ করিম (৩০) ও টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫)। সোমবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃৃথকভাবে এসব রোগীদের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৬জন।
কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার ভোর ৫টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মারা যান মো. এছারুল করিম (৩৫)। তিনি কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলি ইছুলুরঘোনার বাসিন্দা। তার পরিবারে ৩ সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ইতোমধ্যে এক সদস্য সুস্থ হয়ে গেছেন। মো. এছারুল করিমের করোনা লক্ষণ দেখা দিলে তিনি স্যাম্পল জমা দেন। রবিবার (৩১ মে) তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয়। সোমবার আনুমানিক ভোর ৫টা নাগাদ তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অপরদিকে, কক্সবাজার পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম নুনিয়ারছড়ার তরুণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ করিম (৩০) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। করোনার উপসর্গ নিয়ে দুই দিন আগে তাকে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই তার স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। তবে এখনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। মোহাম্মদ করিম মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার শামসুল আলম প্রকাশ শামসু মাঝির ছেলে।
একইভাবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মনোয়ারা বেগম (৫৫) নামের এক নারী মারা গেছে। সে টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী। একই দিন বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান। এর তিনদিন আগে তার করোনার লক্ষণ দেখা দিলে রবিবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।
কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা. মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, ‘কক্সবাজার জেলায় গত ৬১টি দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতোমধ্যে ১৩জন মারা গেছেন। আজকের তিনজন সহ মোট ১৬জন নারী পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৭জন। মারা যাওয়া ১৬জনই করোনায় আক্রান্ত।
মৃত্যু হওয়া রোগীদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১১জন, রামু ১জন, টেকনাফে ২জন, উখিয়া ১জন ও চকরিয়া ১জন রয়েছে।৷