কক্সবাজারের দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত ভাঙনের কারণে বিলীন হতে যাচ্ছে। দিন দিন ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সাগর উত্তাল হওয়ায় সাগরের পানির ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলে। আর এতে তীব্র ভাঙনে বিলীন হয়ে যাচ্ছে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের বেশকিছু এলাকা। সুপ্রভাতের কক্সবাজার প্রতিনিধি জানান, গেল কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি, লঘুচাপ ও ভরা পূর্ণিমার জোয়ার অব্যাহত থাকায় বেড়েই চলেছে ভাঙনের তীব্রতা। এভাবে ভাঙতে থাকলে হুমকির মুখে পড়বে শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম ও সৈকত লাগোয়া ছোট-বড় অনেক স্থাপনা। আর তাই দ্রুত সময়ে টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
সৈকতের ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কবিতা চত্বর, শৈবাল পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্টসহ কয়েক কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এ সময় শতাধিক ঝাউগাছ ও জিও ব্যাগগুলো থেকে বালি সরে যেতে দেখা যায়।
কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোহাম্মদ সরওয়ার আলম জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সাগর উত্তাল রয়েছে। যার কারণে জোয়ারের পানির ধাক্কায় কক্সবাজারের নাজিরারটেক, ডায়াবেটিক পয়েন্ট, কবিতা চত্বর, শৈবাল পয়েন্ট, লাবণী পয়েন্টসহ বেশ কয়েক জায়গায় ভাঙন দেখা দিয়েছে। তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় ২শ বড় এবং ১৪শ ছোট ঝাউ চারা উপড়ে গেছে। ভাঙন রোধে গাইড ওয়াল ও টেকসই বনায়ন করলে ভাঙন রোধ হতে পারে।
কক্সবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মিথুন ওয়াদ্দাদার জানান, তীর ভাঙন প্রতিরোধে ৬ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে শিগগিরই অত্যাধুনিক ফ্লাড ওয়াল ও ব্লক নির্মাণ করা হবে। এ কাজ সম্পন্ন হলে রক্ষা পাবে ঝাউ বাগান। আর এতে বাঁচবে পর্যটন শিল্প।
প্রতিবছর উপকূল রক্ষায় সরকারকে প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়। কক্সবাজার পর্যটন নগরের মূল সম্পদ বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত রক্ষায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আরও বেশি তৎপর হতে হবে। কীভাবে টেকসই বাঁধ ও সুরক্ষা ব্যবস্থা জোরালো করা যায় সে বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। প্রয়োজনে বিদেশি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
এ মুহূর্তের সংবাদ