মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক এমপি বলেছেন, কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি। অনেকেই বেড না পেয়ে মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। তাই সদর হাসপাতালের ২৫০ শয্যা বেডের সাথে আরো ২০০-৩০০ শয্যা বাড়ানো হবে। হাসপাতালে নবনির্মিত ভবনে এই কার্যক্রম দ্রুত শুরু হবে।
গতকাল সোমবার দুপুরে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মু. আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর আলম, অতিরিক্ত সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন, সিভিল সার্জন মো. মাহবুবুর রহমান ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোমিনুর রহমান।
মন্ত্রী হাসপাতালে পৌঁছার পর জরুরি বিভাগ, বিভিন্ন ওয়ার্ড, অপারেশন থিয়েটার ও হাসপাতালের নানা কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় চিকিৎসকরা মন্ত্রীকে হাসপাতালের নানা সংকটের কথা তুলে ধরেন। যা তড়িৎ সমাধানের আশ্বাস দেন তিনি। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী অপারেশন থিয়েটারসহ ও শেখ রাসেল শিশু পরিচর্যা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এরপর তিনি কক্সবাজার জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সাথে মতবিনিময় করেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নির্মাণ করা হবে। সেখানে অচিরেই স্থাপিত হবে জরুরি বিভাগ। কক্সবাজার সদর হাসপাতালের অত্যাধুনিক জরুরি বিভাগ প্রতিনিয়ত জীবন রক্ষা করছে। স্থানীয় ও রোহিঙ্গাদের চিকিৎসাসেবা দিচ্ছে সরকার ও বিদেশিরা। ইতোমধ্যে টেকনাফে ১২টি ক্লিনিক উদ্বোধন হয়েছে। আরও ৮৮টি ক্লিনিক উদ্বোধন হবে। এসব ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষ স্বাস্থ্যসেবা পাবে। উপজেলার হাসপাতালগুলোতে নানা সংকট রয়েছে। শিগগিরই সেসব হাসপাতালে যন্ত্রপাতি ও জনবল বাড়ানো হবে। আর রোগী যেখানে বেশি হবে সেখানে বেড বাড়ানো হবে। উপজেলার প্রত্যেক হাসপাতালে স্থাপন করা হবে ব্লাড ব্যাংক, সেন্ট্রাল অক্সিজেন লাইন। এতে মা ও শিশুর মৃত্যুর হার কমবে।’
মন্ত্রী বাংলাদেশে করোনা ভ্যাকসিনের সাফল্য তুলে ধরে বলেন, ‘করোনা মহামারীতে সারা পৃথিবী যখন কাবু তখন বাংলাদেশ দক্ষতার সাথে সামাল দিয়েছে। করোনা টিকা প্রয়োগেও বাংলাদেশ আমেরিকাকে ছাড়িয়ে গেছে। ’