নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার :
মহামারি করোনা’র কারণে দীর্ঘ ৫ মাস বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার থেকে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেলসহ কক্সবাজারের পর্যটনকেন্দ্রগুলো শর্তসাপেক্ষে সীমিত আকারে খুলে দিচ্ছে প্রশাসন। এমন সিদ্ধান্তে স্থবির হয়ে থাকা পর্যটন ব্যবসায়ীরা পর্যটকবরণে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
কক্সবাজারের পর্যটন সংশ্লিষ্ট কয়েকটি সংগঠনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পর্যটনস্পট ও বিনোদনকেন্দ্রগুলো খুলে দিচ্ছে জেলা প্রশাসন। তবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কঠিন শর্ত রয়েছে এতে।
পর্যটন সেলের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ইমরান জাহিদ খানের নেতৃত্বে হোটেল-মোটেল ও পর্যটন সংশ্লিষ্টদের নিয়ে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি পর্যটন সংশ্লিষ্ট সকল বিষয় তদারক করবে। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে।
কক্সবাজার জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন বলেন, নির্দিষ্ট কিছু শর্তে সীমিত আকারে সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেলসহ কক্সবাজার পৌর এলাকাকেন্দ্রিক পর্যটনস্পটগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। তবে জেলার অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রগুলো পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
বিনোদনকেন্দ্রগুলো চালু করতে নীতিমালা তৈরি করেছে প্রশাসন। এতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কীভাবে পর্যটনকেন্দ্রগুলো চালু করা যায় সেটির নির্দেশনা রয়েছে। পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দিতে সেক্টরভিত্তিক এসব নির্দেশনা তৈরি করা হয়েছে।
তথ্যমতে, গত ১৮ মার্চ থেকে কক্সবাজার করোনা ভাইরাসরোধ সংক্রান্ত কমিটির সিদ্ধান্তে সমুদ্র সৈকত ও হোটেল-মোটেলসহ জেলার পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় প্রশাসন। এরপর লকডাউন ও সাধারণ ছুটি ঘোষণার সময়সীমা শেষ হলেও আজ অবধি বন্ধ রয়েছে পর্যটনকেন্দ্রগুলো। যার ফলে কক্সবাজার পর্যটন এলাকাগুলো অনেকটা ভুতুড়ে এলাকায় পরিণত হয়। তবে লকডাউন শিথিলের পর থেকে বিচে স্থানীয় ছাড়াও কিছু কিছু পর্যটকের আগমন ঘটছে।
হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবুল কাসেম সিকদার জানিয়েছেন, জেলা প্রশাসনের এমন সিদ্ধান্তের পরে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউজগুলো এখন পর্যটকবরণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। করোনা’র ঝুঁকিমুক্ত করে পর্যটকবরণ করার জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে সংশ্লিষ্টরা। ইতোমধ্যে পর্যটক আগমনের বেশ সাড়াও মিলছে। অনেকে অগ্রিম বুকিং দিচ্ছে।
জেলা রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নইমুল হক চৌধুরী টুটুল বলেন, প্রশাসনের নেওয়া সিদ্ধান্ত যথাযথ। পাশাপাশি ‘জীবিকার চেয়ে জীবন’ আগে এ কথাটিও সর্বাগ্রে সকলের বিবেচনায় রাখতে হবে। প্রশাসন স্বাস্থ্যবিধিসহ যেসব নীতিমালা ও নির্দেশনা ঠিক করেছে তা পরিপূর্ণভাবে প্রতিপালন ও বাস্তবায়ন হলে কক্সবাজারকে করোনা সংক্রমণ থেকে রক্ষা করা যাবে।