সুপ্রভাত ডেস্ক »
ঢাকাই সিনেমার খল চরিত্রের শক্তিমান অভিনেতা মিশা সওদাগর হাজির হলেন ওয়েব সিরিজ ‘যদি আমি বেঁচে ফিরি’র ট্রেইলারে; বললেন, এবার তিনি ফেঁসে গেছেন।
মিশার পাশাপাশি এ সিরিজে অভিনয় করেছেন বিজরী বরকতউল্লাহ, দিলরুবা হোসেন দোয়েল, মুসাফির সৈয়দসহ আরও অনেকে। গত রোববার প্রকাশিত ট্রেইলারে দেখা যায়, কণ্ঠশিল্পী হায়দার হোসেনের গান ‘আমি ফাঁইসা গেছি’ খালি গলায় গাইছেন কেউ একজন। এরপর পর্দায় দেখানো হয় মিশা সওদাগরকে।
গানের প্রথম লাইন শেষ হতেই মিশার সংলাপ- ‘হ বন্ধু, কঠিন ফাঁসা ফাঁইসা গেছি।’
এ সিরিজে মিশা সওদাগর একজন দুর্নীতিগ্রস্ত প্রকৌশলী। স্ত্রী ও বান্ধবীর সঙ্গে সম্পর্ক ঠিক রাখতে হিমশিম খাচ্ছেন। বান্ধবীকে তিনি উপহার দিয়েছেন একটি ফ্ল্যাট। একদিন হঠাৎ বান্ধবীর জন্য কেনা অ্যাপার্টমেন্টের লিফটে আটকা পড়েন নিজেই।
তানিম পারভেজ পরিচালিত চরকির এই ওয়েব সিরিজ মুক্তি পাচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। আর এর মধ্য দিয়ে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে অভিষেক হচ্ছে বহু সিনেমার অভিনেতা মিশা সওদাগরের।
ওটিটির জন্য প্রথমবার কাজ করার অভিজ্ঞতা জানতে চাইলে মিশা সওদাগর বলেন, ‘নতুন জায়গায় গেলে বা নতুন কারো সাথে পরিচয় হলে সেটার অভিজ্ঞতা ভিন্ন রকম থাকে। এখানেও আমার তেমনটা মনে হয়েছে।’
যতটা পেরেছেন, ‘সিরিয়াসনেস’ কাজে লাগানোর চেষ্টা করেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ‘গল্পটা দারুণ, হিউম্যান সাইকোলজির ওপর। আর চরিত্রটা ছিল খুব বাস্তবসম্মত; দেখে মনে হবে খুব কাছের বা আপনার আশেপাশের একটা চরিত্র। আরোপিত কোনো চরিত্র না। আর এই গল্পটার মধ্যে অনেক বার্তা আছে, যেটা দর্শক দেখলে বুঝতে পারবে।’
লিফটে আটকা পড়ার ওই দৃশ্যে অভিনয় করতে হবে জেনে কিছুটা চিন্তায় পড়েছিলেন ‘ক্লাস্টোফোবিয়ার রোগী’ মিশা।
‘লিফট, বেইজমেন্টে, হাইট, অন্ধকারে গেলে আমার হাত-পা কাঁপতে থাকে। যখন আমি শুনলাম যে লিফটের মধ্যের গল্প, তখন থেকেই চিন্তায় ছিলাম। পরে তো ভালো মতই কাজটা শেষ করলাম।’
অভিনেত্রী বিজরী বরকতউল্লাহ বলেন, ‘আমার কাছে স্ক্রিপ্টটা খুব ভালো লেগেছিল। আর এখন অনেক তরুণরা প্রচুর ভালো ভালো কাজ করছে। আমি তো বিশ্বাস করি তরুণরা এখন অনেক নতুন কনটেন্ট, নতুন কনসেপ্ট আবিষ্কার করে আমাদের কাজের সুযোগ করবে।’
পরিচালক তানিম পারভেজ বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করেছি গল্পটা নতুন ভাবে প্রেজেন্ট করতে। অভিনেতা থেকে কলাকুশলী বেশিরভাগ সবাই কাজটার প্রতি বেশ ডেডিকেটেড ছিলেন। যে কারণে অনেক কঠিন সময় পার করে আসতে পেরেছি। বাকিটা এখন দর্শকের উপরে।’