সুপ্রভাত স্পোর্টস ডেস্ক »
পর পর তিনটি ছয়। ম্যাথু ওয়েড ঝড়ে সব শেষ পাকিস্তানের। স্বপ্নের দৌড় শেষ বাবর আজমদের। ৫ উইকেটে পাকিস্তানকে হারিয়ে টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল অস্ট্রেলিয়া। শাহিন শাহ আফ্রিদিকে বাউন্ডারির বাইরে পাঠিয়ে এক ওভার হাতে রেখেই দলের জয় নিশ্চিত করলেন ওয়েড।
এই বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতকে ১০ উইকেটে হারিয়ে পাকিস্তানের শুরু। এরপর প্রতিটা ম্যাচেই ছিল এগিয়ে চলার গল্প। বৃহস্পতিবার সেমিফাইনালে অপ্রতিরোধ্য বাবর আজমের দলকে থামিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আরেকটি জয়ের গল্প লিখে ২০০৯ সালের পর ফের ফাইনালে যাওয়া হলো না পাকিস্তানের।
দুবাই ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামটা তো পাকিস্তানের হোম গ্রাউন্ডই। গ্যালারি ভর্তি হাজারো দর্শক। তাদের হতাশ করে ৫ উইকেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়া পেয়ে গেল আইসিসি টি-টোয়েন্টি ফাইনালের টিকিট। যেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। ১৪ নভেম্বর শিরোপার লড়াইয়ে এই দুবাইয়ের মাঠেই মুখোমুখি হবে তাসমান সাগর পাড়ের দুই দেশ।
টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাট করতে পাঠান অ্যারন ফিঞ্চ। পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম এবং মহম্মদ রিজওয়ান শুরুটা ভালই করেছিলেন। হাতে উইকেট রেখে ইনিংস গড়ার কাজ করছিলেন দু’জনে। ৩৪ বলে ৩৯ রান করে বাবর ফিরলেও পাকিস্তানকে এগিয়ে নিয়ে গেলেন রিজওয়ান। ৫২ বলে ৬৭ রান করেন তিনি। তাঁকে সঙ্গত দেন ফখর জামান।
৩২ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন ফখর। তবে আসিফ আলি (০) এবং শোয়েব মালিক (১) ব্যর্থ। একটা সময় পাকিস্তান ২০০ রান পার করে দেবে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু শেষের দিকে রানের গতি আটকে দেন মিচেল স্টার্করা। তবে শেষ ওভারে দু’টি ছয় মেরে পাকিস্তানের স্কোর ১৭৬ রানে পৌঁছে দেন ফখর। স্টার্ক নেন দু’টি উইকেট। একটি করে উইকেট পান প্যাট কামিন্স এবং অ্যাডাম জাম্পা।
জবাবে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শক্তিশালী ব্যাটিং লাইন আপ ৫ উইকেট হারিয়ে শেষ ওভারের আগেই মেতে উঠে জয়ের আনন্দে! ম্যাথু ওয়েডের সঙ্গে অসাধারণ এক জুটি গড়ে তুললেন মার্কাস স্টোয়নিস। অবিচ্ছিন্ন ৮১ রানের জুটিতে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়েন তারা। শুরুতে ওয়ার্নার, শেষে ওয়েড ঝড়, ফাইনালে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়া।