সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
ওয়ানডে ক্রিকেটের প্রতি দর্শকদের আগ্রহ বাড়াতে নয়া উদ্যোগ আইসিসির। এবার টেস্টের ধাঁচেই ১৩ দলের ওয়ানডে সুপার লিগ শুরু করছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। যার পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগ’। আগামী সপ্তাহে ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ডের মধ্যেকার প্রথম ওয়ানডে ম্যাচই এই সুপার লিগের প্রথম ম্যাচ হিসেবে বিবেচিত হবে। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল, এই ওয়ানডে সুপার লিগের ফলাফলের উপর নির্ভর করছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে কারা কারা খেলার সুযোগ পাবে।
বস্তুত, ২০২৩ ক্রিকেট বিশ্বকাপের বাছাই পর্ব হিসেবে ঘোষিত হল এই মেগা টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্টে মোট ১৩টি দল খেলবে। আইসিসির ১২টি স্থায়ী সদস্য দেশ (আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান, জিম্বাবোয়েসহ) এবং নেদারল্যান্ড এই টুর্নামেন্টে অংশ নেবে। ৩ বছর ধরে চলা এই মেগা টুর্নামেন্টে প্রতিটি দল নিজেদের মধ্যে ঘরের মাঠে ৪ টি এবং বিদেশের মাটিতে ৪টি মিলিয়ে মোট আটটি তিন ম্যাচের সিরিজ খেলবে। একটি দলের বিরুদ্ধে একটিই সিরিজ খেলা যাবে (হয় হোম নাহয় অ্যাওয়ে)। প্রতিটি সিরিজে থাকবে ১০ পয়েন্ট। সিরিজ জিতলে জয়ী দলই ১০ পয়েন্ট পেয়ে যাবে। কোনও কারণে ড্র হলে ৫ পয়েন্ট করে দুই দলের মধ্যে ভাগ হবে। এই সুপার কাপের জন্য আলাদা করে কোনও নক-আউট ম্যাচ হবে না।
সুপার লিগের শেষে শীর্ষস্থানে থাকা সাতটি দল এবং ২০২৩ বিশ্বকাপের আয়োজক ভারত সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। যদি ভারত প্রথম সাতের মধ্যে থাকে তাহলে অষ্টম স্থানে থাকা দল সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে। শেষ পাঁচটি দলকে অ্যাসোসিয়েট দেশগুলির বিরুদ্ধে খেলতে হবে শেষ দুটি স্থানের জন্য। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালেও ২০১৯-এর মতোই দশ দলের বিশ্বকাপ হবে। এই মেগা টুর্নামেন্টের ফলে আয়ারল্যান্ড, আফগানিস্তান, জিম্বাবোয়ে, নেদারল্যান্ডের মতো দলগুলি উপকৃত হবে। কারণ, এর ফলে আগামী ৩ বছরে অন্তত ২৪টি করে ওয়ানডে খেলা নিশ্চিত হয়ে গেল এই দলগুলির।
খবর : সংবাদপ্রতিদিন’র।
খেলা