চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জিওবি ফান্ড আড়াই হাজার কোটি টাকার প্রকল্প দিয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর উন্নয়নের জন্য। বিগত পঞ্চাশ বছরের ইতিহাসে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে এতবড় অনুদান কেউ দেয়নি। প্রধানমন্ত্রী প্রদত্ত প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে নগরীর রাস্তা-ঘাটের চেহারা পাল্টে যাবে। তিনি বলেন, মেয়র ও কাউন্সিলদের একার পক্ষে নগরী পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা সম্ভব নয়। সবাইকে সচেতন হতে হবে। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও উন্নত নগরীর গড়া সম্ভব হবে।
তিনি গতকাল সোমবার সকালে নগরীর পশ্চিম মাদারবাড়ি ওয়ার্ডের মীর আকতার শাহ্ লেইনে বেশ কয়েকটি উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিতির বক্তব্যে একথা বলেন।
মেয়র বলেন, নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের পূর্বশর্ত হলো নালা নর্দমা পরিষ্কার রাখা। যাতে পানি চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয়। কোন অবস্থাতেই নালা-নর্দমায় পলিথিন ও ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না। কারণ পলিথিন ও ময়লা আবর্জনার কারণে নালার পানি চলাচলে বাধাগ্রস্ত হয়ে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তিনি বলেন, নগরীর প্রত্যেক ওয়ার্ডে শিশুদের বিনোদন ও খেলাধুলার জন্য একটি করে পার্ক স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তিনটি ওয়ার্ডে এর কাজ চলমান রয়েছে। অন্য ওয়ার্ডগুলোতে খালি জায়গা পাওয়া সাপেক্ষে পার্ক স্থাপনের কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।
মেয়র আরও বলেন, পূর্বের ভাঙা খানা-খন্দকে ভরপুর রাস্তা-ঘাট বর্তমানে মেরামত করে যান ও জন চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। তরপরও কোথায় অলি-গলির রাস্তায় সমস্যা থাকলে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিরদের অবহিত করলে তা প্যাঁচ ওয়ার্কের মাধ্যমে দ্রুত মেরামত করা হবে।
স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ জোবায়েরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- পূর্ব মাদারবাড়ি ওয়ার্ড কাউন্সিলর আতাউল্লাহ চৌধুরী, সাবেক কমিশনার আলী বক্স, মীর আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক গোফরান উদ্দিন টিটু, দানু মিয়া, মোজাফ্ফর উদ্দিন মানু, তাজুল ইসলাম তাজু, শাহরিয়ার হাসেন, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।
পরে মেয়র মাওলানা মীর আকতার শাহ্ লেন, নিরিবিলি আবাসিক এলাকা, উদয়ন গলি বায়তুল জান্নাত মসজিদ রোড, গণকল্যাণ লেইনের উন্নয়ন কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন এবং মোহাম্মদ আলী শাহ্ স্মৃতি গ্রন্থাগার পরিদর্শন করেন। বিজ্ঞপ্তি