ভাবতে অবাক লাগে চট্টগ্রামে অনেককিছুর অভাব থাকলেও এখানে দেশের একমাত্র ফুটওভার ব্রিজ আছে। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে চালু হওয়া প্রথম ও একমাত্র এস্কেলেটর ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণে প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয় হয়।
চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের রোগীদের পাশাপাশি সাধারণ পথচারীদের নিরাপদে রাস্তা পারাপারের সুবিধার্থে চসিক কর্তৃপক্ষ ৩ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে ফুটওভার ব্রিজটি নির্মাণ করে।
৬৫ ফুট দীর্ঘ এবং ৯ ফুট চওড়া সেতুটির উপরে ওঠার জন্য উভয় পাশে ২টি এস্কেলেটর রয়েছে। তবে, নীচে নামার জন্য রয়েছে সিঁড়ি। কর্তৃপক্ষের যুক্তি হলো, ওপরে ওঠা কঠিন হলেও নিচে নেমে আসা সহজ।উদ্বোধনের পর প্রায় ২ মাস এটি চালু ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। এরপরে করোনা মহামারি পরিস্থিতিতে এটি বন্ধ রাখা হয়।
উদ্বোধনের পর মাত্র ২ মাস চালু ছিল ফুটওভার ব্রিজটি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মতে, এস্কেলেটর ফুটওভার ব্রিজের বিদ্যুৎ খরচ এত বেশি যে এটি চালানো সম্ভব নয়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এস্কেলেটর ফুটওভার ব্রিজটি যে আর্থিকভাবে কার্যকর হবে না, তা এটি স্থাপনের পরিকল্পনা করার সময় চসিক কর্তৃপক্ষের বোঝা উচিত ছিল। তারা বলেন, এ ধরনের অপরিকল্পিত প্রকল্প প্রণয়ন প্রমাণ করেছ যে চসিকের কোনো সমন্বিত পরিকল্পনা ব্যবস্থাপনা নেই। পরিকল্পনা ও ডিজাইনের মূল দর্শন হলো, একটি প্রকল্পের আর্থিক, প্রযুক্তিগত ও পরিবেশগত কার্যকারিতা বিবেচনা করা। এই প্রকল্পের মাধ্যমে জনসাধারণের অর্থের অপচয় হয়েছে মাত্র, যা সম্পূর্ণ অনৈতিক।
অন্তত পাঁচ বছর ধরে বহু টাকা দামের এই চলন্ত সিঁড়িটি অবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এরফলে এটি বিনষ্ট হওয়ার পথে। আমরা মনে করি একেবারে ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ার আগে কর্তৃপক্ষের উচিত এটিকে অন্যত্র কাজে লাগানো যায় কিনা সে চেষ্টা করা। জনগণের টাকায় কেনা সম্পত্তির বিষয়ে সঠিক জবাবদিহি থাকলে এমন কাজ হতো না।