সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
অনেক ক্রিকেটবোদ্ধা এশিয়া কাপকে উপমহাদেশের বিশ্বকাপ হিসেবে আখ্যা দিয়ে থাকেন। গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। সেখানে বিপত্তি ঘটায় করোনাভাইরাস। পুনঃনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী চলতি বছরের জুন মাসে শ্রীলংকায় এই আসর বসবে। এই আসরে অংশগ্রহণ করতে অনাগ্রহী ভারত। ফলে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়েই দেখা দিয়েছে শঙ্কা।
গত বছরের এশিয়া কাপ শ্রীলংকা অথবা সংযুক্ত আরব আমিরাতে আয়োজন করতে চেয়েছিলো পাকিস্তান। কিন্তু ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) আয়োজনের দিকে ভারত বেশি উৎসাহী থাকায় অনেকটা বাধ্য হয়ে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি) টুর্নামেন্টকে বাতিল ঘোষণা করে। এরপর পাকিস্তান চেষ্টা করলেও টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে ব্যর্থ হয়। পরে বাবর আজমদের দেশকে ২০২২ সালের আসর আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়।
এদিকে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বেশ ভালোভাবেই টিকে আছে ভারত। এশিয়া কাপ আয়োজনের সময় অর্থাৎ আগামী জুনে সেই ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে। মর্যাদাপূর্ণ এই প্রতিযোগিতার ফাইনালে যেতে না পারলেও এশিয়া কাপের চেয়ে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ আয়োজনে বেশি আগ্রহী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। এসব কারণ চলতি বছরের এশিয়া কাপকে শঙ্কার মুখে ফেলে দিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার জানিয়েছে, এশিয়া কাপ অনুষ্ঠিত হওয়ার সময়টা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের ফাইনালের সূচির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এমনকি ভারত যদি ফাইনালে উঠতে নাও পারে তখন দ্বিপাক্ষিক সিরিজের দিকে তাকাবে তারা। আপাতত ২০২২ এশিয়া কাপ নিয়েই ভাবছে বিসিসিআই।
ভারতের এমন মনোভাব আগামী আসরকে শঙ্কায় ফেলে দিয়েছে। এশিয়া কাপের বদৌলতে ভারত-পাকিস্তান মহারণের সাক্ষী হতে পারে বিশ্ব ক্রিকেট। দু’দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের কারণে বহুদিন ধরেই দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলা বন্ধ রেখেছে দুই দেশ। ফলে তাদের লড়াই উপভোগের জন্য বিশ্বকাপ কিংবা এশিয়া কাপের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হয়।
সবমিলিয়ে ভারতের আগ্রহের ওপরই যে এশিয়া কাপের ভাগ্য ঝুলছে সে কথা বলাই বাহুল্য। এ প্রতিযোগিতায় সবচেয়ে বেশি ৭ বার শিরোপা জিতেছে তারা। অন্যদিকে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য দুইবার রানার্স আপ হওয়া। খবর : ডেইলিবাংলাদেশ’র।
খেলা