সুপ্রভাত ডেস্ক :
শুনুন, প্রথমেই বলে রাখি, এটাই আমার একক ক্যারিয়ারের প্রথম অ্যালবাম। এর আগে যেগুলো বের হয়েছে, সেগুলো একক অ্যালবাম নয়। বিভিন্ন গান যোগ-বিয়োগ করে ‘বেস্ট অব পার্থ বড়ুয়া’ ধরনের অ্যালবাম বাজারে এসেছে। সুতরাং এটাই আমার প্রথম একক অ্যালবাম। এবার বলুন।
প্রশ্নের আগেই যেন ঝটপট মোক্ষম জবাব দিলেন দেশের শ্রোতাপ্রিয় গায়ক পার্থ বড়ুয়া। এমন উত্তরের পর আর প্রশ্ন চলে না। সঙ্গে এটুকু তথ্যও জানানো জরুরি, একমাত্র পার্থ বড়ুয়াই ব্যতিক্রম- যাকে এতকাল কোনও প্রযোজক কিংবা আয়োজক সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক প্রস্তাব দিয়েও একক অ্যালবাম করাতে পারেনি। এমনকি তার ক্যারিয়ারে মিশ্র অ্যালবামের সংখ্যাও অন্যদের তুলনায় বেশ কম।
অথচ কখনোই তার জনপ্রিয়তা অন্যদের তুলনায় কম ছিলো না। এসবের কারণ, বরাবরই তিনি নিজেকে রাখতে চেয়েছেন সোলস-এর সোলজার হিসেবে। ব্যান্ড সতীর্থদের নিয়ে যেমনটা আছেন এখনও।
ফলে পার্থ বড়ুয়ার মিউজিক ক্যারিয়ারের পুরোটাজুড়ে এমন একটি একক অ্যালবাম প্রকাশের গল্প বাতাসে ভেসে বেড়িয়েছে! যার বাস্তবায়ন ঘটলো চলমান লকডাউনে! ২৯ মে মধ্যরাতে প্রকাশ হলো প্রথম একক অ্যালবাম ‘মুখোশ’-এর প্রথম গান ‘শহর ও মেঘদল’।
অ্যালবামটির পৃষ্ঠপোষক হিসেবে আছে আইপিডিসি ফিন্যান্স। প্রতিষ্ঠানটির ফেসবুক পেজে গানটির ভিডিও উন্মুক্ত হলো।
পার্থ বড়ুয়া বলেন, এবারে ঈদটি আমাদের একেবারেই অন্যরকম গেছে। সবাই ঘরবন্দি। এরমধ্যে আইপিডিসি আয়োজন করেছিল ‘জাগো উচ্ছ্বাসে ঈদ আনন্দে’ নামের ফেসবুক আয়োজন। এর মাধ্যমেই আমার প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের ঘোষণাটা আসে। এতে পাঁচটি বিষয়ভিত্তিক গান আছে। যার প্রথমটি ‘শহর ও মেঘদল’।
‘জাগো উচ্ছ্বাস ঈদ আনন্দে’ লাইভ অনুষ্ঠানের তৃতীয় দিন (২৮ মে) পার্থ বড়–য়ার প্রথম একক অ্যালবাম ‘মুখোশ’-এর আনুষ্ঠানিক উন্মোচন হয়। ধীরে ধীরে বাকি চার গান অনলাইনে অবমুক্ত হবে বলে জানান পার্থ।
‘মুখোশ’-এর অন্য গানগুলোর শিরোনাম এমন- ‘নস্টালজিয়া’, ‘টং এর দোকান’, ‘বৃষ্টির গান’ ও ‘মুখোশ’। সবগুলো গান লিখেছেন রানা। সুর-সংগীত পরিচালনা করেছেন পার্থ বড়ুয়া নিজেই।
১৯৮৮ সালে আইয়ুব বাচ্চুর হাত ধরে পার্থ বড়ুয়ার আগমন ঘটে ব্যান্ড সোলস-এ। এর কয়েক বছর পর দলের মূল গায়ক হয়ে ওঠেন তিনি।
খবর : বাংলাট্রিবিউন’র।
বিনোদন