এবার হংকং থেকে স্বীকৃতি পেলো ‘রেহানা মরিয়ম নূর’

সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »

অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত নামজাদা এশিয়া প্যাসিফিক স্ক্রিন অ্যাওয়ার্ডস (অ্যাপসা) থেকে ‘রেহানা মরিয়ম নূর’ একসঙ্গে দুটি স্বীকৃতির প্রাপ্তির পর এবার হংকং থেকে এলো আরেকটি সুখবর।

আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের এই ছবিটি এবার হংকং এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভালের নিউ ট্যালেন্ট অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে। সোমবার (১৫ নভেম্বর) এই খবরটি নিশ্চিত করেন ছবিটির নির্বাহী প্রযোজক এহসানুল হক বাবু।

উৎসবের জুরিবোর্ড থেকে ছবিটি সম্পর্কে দারুণ মন্তব্য করা হয়। বলা হয়, ‘ছবিটির মাধ্যমে এমন একটি নিপীড়নমূলক পরিবেশ তৈরি করা হয়, যেখানে দেখা যায় একজন ব্যক্তিকে (আজমেরী হক বাঁধন) তার বিবেকের শেষ প্রান্তে ঠেলে দেওয়া হলো।’

জুরি বোর্ডের সদস্যরা ছবিটির গতিশীল হ্যান্ডহেল্ড ক্যামেরাওয়ার্ক আর সিনেমাটোগ্রাফিv প্রশংসাও করেন।

১২ নভেম্বর থেকে ছবিটি চলছে বাংলাদেশের ১২টি প্রেক্ষাগৃহে।

এর আগে বাংলাদেশের প্রথম ছবি হিসেবে কান উৎসবে অফিসিয়াল সিলেকশন হয় ‘রেহানা মরিয়ম নূর’। এতে অনবদ্য অভিনয় করে দেশ-বিদেশে দারুণ প্রশংসিত হয় ছবিটি। এরপর গত ১১ নভেম্বর অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ডের গোল্ড কোস্ট শহর থেকে খবর আসে অ্যাপসা জয়ের। এতে ২৫টি এশিয়া প্যাসিফিক দেশের মোট ৩৮টি ছবি মনোনয়ন তালিকায় ছিলো। এরমধ্যে যৌথভাবে ‘জুরি গ্র্যান্ড প্রাইজ’ (উৎসবের দ্বিতীয় পুরস্কার) জিতে নিয়েছেন বাংলাদেশের সাদ এবং অস্ট্রেলিয়ার সিনেমা ‘দ্য ড্রোভারস ওয়াইফ: দ্য লিজেন্ড অব মলি জনসন’। এছাড়াও সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার অর্জন করেন ‘রেহানা’ চরিত্রে অভিনয় করা আজমেরী হক বাঁধন।

এসব প্রাপ্তিতে বাঁধনের প্রতিক্রিয়া এমন, ‘অ্যাপসা জয়ের পর এবার সুখবর পেলাম হংকং থেকে। অবশ্যই এটা আমাদের জন্য আনন্দের ব্যাপার। দেশের দর্শকদের কাছ থেকেও ভালো সাড়া পাচ্ছি। আমি মনে করি, এসব অর্জন মূলত আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ সাদের। তিনিই আমাকে রেহানা হিসেবে দর্শকদের সামনে যথাযথভাবে উপস্থাপন করেছেন। আমি তার কাছে কৃতজ্ঞ। নিজেকে ধন্যবাদ দিচ্ছি, এই দীর্ঘ ধৈর্যের পথে হাঁটতে পেরেছি বলে।’

ছবিটির চিত্রনাট্য ও সম্পাদনা করেছেন নির্মাতা আবদুল্লাহ মোহাম্মদ সাদ নিজেই।

একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেহানা মরিয়ম নূরকে কেন্দ্র করে এর গল্প। কর্মস্থলে ও পরিবারে তাল মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাকে। কারণ, শিক্ষক, চিকিৎসক, বোন, কন্যা ও মা হিসেবে জটিল জীবনযাপন করেন তিনি।

১ ঘণ্টা ৪৭ মিনিট ব্যাপ্তির ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন সাবেরী আলম, আফিয়া জাহিন জায়মা, আফিয়া তাবাসসুম বর্ণ, কাজী সামি হাসান, ইয়াছির আল হক, জোপারি লুই, ফারজানা বীথি, জাহেদ চৌধুরী মিঠু, খুশিয়ারা খুশবু অনি, অভ্রদিত চৌধুরী।

পোটোকল ও মেট্রো ভিডিও’র ব্যানারে ছবিটি প্রযোজনা করেছেন সিঙ্গাপুরের প্রযোজক জেরেমি চুয়া।