নিজস্ব প্রতিনিধি, টেকনাফ »
বৈরি আবহাওয়ার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে ১৫ নভেম্বর থেকে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। যার কারণে দেড়শ পর্যটককে দ্বীপে অবস্থান করতে হচ্ছে। ১৫ নভেম্বর সকালে পর্যটকবাহী কেয়ারি সিন্দবাদ বার আউলিয়া ও আটলান্টিক জাহাজে করে দ্বীপ ভ্রমণে যায় ৫ শ পর্যটক। এদিন বিকালে আড়াইশ পর্যটক দ্বীপ ছাড়লেও সেখানে বাকিরা থেকে যান। এছাড়া ১০০ জন নানাভাবে দ্বীপ ছেড়ে গেছেন। এরপর থেকে তিন দিন পার হলেও ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
এ ব্যাপারে কক্সবাজারে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করেছে আবহাওয়া অফিস। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ মো. ইমাম উদ্দিন। এর আগে, ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে উপকূলীয় এই এলাকাটিতে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত জারি করা হয়েছিল।
জাহাজ চলাচল বন্ধের বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) টেকনাফ অঞ্চলের ট্রাফিক সুপারভাইজার জহির উদ্দিন ভূঁইয়া বলেন, ‘সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর সতর্কসংকেত থাকায় বৃহস্পতিবার সকালে টেকনাফ-সেন্টমার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। এরপর ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’র কারণে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত থাকার কারণে সব ধরনের নৌ- জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে দ্বীপে ভ্রমণে আসা বেশ কিছু পর্যটক সেখানে রাত্রি যাপন করছিল। তাদের আরও এক রাত সেখানে থাকতে হবে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাদের নিয়ে আসা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চ্ইালে পর্যটকবাহী জাহাজ কেয়ারি সিন্দবাদের টেকনাফের ব্যবস্থাপক শাহ আলম বলেন, ১৫ নভেম্বর ৩ নম্বর সংকেত ছিল, এরপরে ৬ নম্বর সতর্ক সংকেতের কারণে সমুদ্র উত্তাল থাকায় গত তিন ধরে জাহাজ চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে বেড়াতে আসা কিছু পর্যটক দ্বীপে রয়েছেন। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে তাদের ফিরিয়ে আনা হবে।
জাহাজ চলাচল বন্ধের কথা স্বীকার করে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ‘বৈরি আবহাওয়ার ফলে সমুদ্র উত্তালের কারণে ১৬ নভেম্বর এ রুটে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে ভ্রমণে আসা বেশ কিছু পর্যটক দ্বীপে অবস্থান করছেন। তাদের খোঁজখবর রাখা হয়েছে। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে আবার জাহাজ চলাচল শুরু হবে।’