নিজস্ব প্রতিবেদক :
রোববার ৯৯৭ নমুনায় ৩৪৬ জন করোনা শনাক্ত হয়েছিল, যা ছিল এতোদিন পর্যন্ত একদিনের হিসেবে সর্বোচ্চ শনাক্ত। সোমবার নমুনার সংখ্যা বেড়ে ১ হাজার ৪৯৪ জন হওয়ায় তা থেকে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪৪৫ জন। যা যথারীতি একদিনে সর্বোচ্চ শনাক্ত। সোমবার চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল, শেভরন ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১ হজার ৪৯৪টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ৪৪৫ জনের। এই ৪৪৫ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩২৪ জন ও উপজেলার ১২১ জন। আর এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজার ৪৮০ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ১৭২ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ১০২৪ জন। গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছে একজন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫৯ জন।
এদিকে সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে জানা যায়, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২১৬টি নমুনার মধ্যে ৩১টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, এই ৩১ জনের মধ্যে ১৮ জন মহানগরের এবং ১৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫১টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৪৫ জনের, এদের মধ্যে ২২ জন নগরীর এবং ২৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৪৭৭টি নমুনার মধ্যে ১২১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের মধ্যে ১০৭ জন নগরীর এবং ১৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২৩৩টি নমুনার মধ্যে ৮৩ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ৮৩ জনের মধ্যে ২৪ জন মহানগরীর এবং ৫৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ১২৭টি নমুনার মধ্যে ২৩ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে, এদের মধ্যে ২০ জন নগরীর এবং তিন জন উপজেলার বাসিন্দা। শেভরনের গত দুই দিনের ২৮০টি নমুনার মধ্যে ১৪১ জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে, এরমধ্যে ১৩৩ জন মহানগরীর এবং ৮ জন উপজেলার বাসিন্দা। অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ১০টি নমুনার মধ্যে এক জনের পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের সকলে উপজেলার বাসিন্দা।
উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ১২১ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ৪ জন, সাতকানিয়ায় ৭ জন, বাঁশখালীতে ২ জন,আনোয়ারায় ৬ জন, চন্দনাইশে ৭ জন, পটিয়ায় ৯ জন, বোয়ালখালীতে ৬ জন, রাউজানে ৬ জন, ফটিকছড়িতে ৭ জন হাটহাজারিতে ২২ জন, সীতাকুন্ডে ১৪ জন ও মিরসরাইয়ে ২৬ জন এবং সন্দ্বীপে ৫ জন রয়েছেন।
এদিকে গত সোমবার নতুন করে ৪৪৫ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৮,৪৭০ জন। এর আগে ২৮ জুন ৩৪৬, ২৭ জুন ৬৪ জন, ২৬ জুন ১৫৯ জন, ২৫ জুন ২৪৬ জন, ২৪ জুন ২৪১ জন, ২৩ জুন ২৮০ জন, ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।
এ মুহূর্তের সংবাদ