চট্টগ্রামে নতুন আক্রান্ত ২৮০, মারা গেল ৪ জন, সুস্থ ৮৫ জন#
২৪ ঘণ্টায় মিরসরাইতে সবচেয়ে বেশি ২৬ জন শনাক্ত#
নিজস্ব প্রতিবেদক :
একদিনের হিসেবে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত হলো চট্টগ্রামে। মঙ্গলবার একদিনে চট্টগ্রামে ২৮০ জন করোনা রোগী শনাক্ত হলো। এর আগে একদিনের হিসেবে সর্বোচ্চ শনাক্তের রেকর্ড ছিল ১৩ জুন ২৬৯ জন।
চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডি, চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ, ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ও কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে মঙ্গলবার (২৩ জুন) ৯৯১ টি নমুনার মধ্যে করোনা পজিটিভ হয়েছে ২৮০ জনের। এই ২৮০ জনের মধ্যে চট্টগ্রাম মহানগরীর ১৫৫ জন ও উপজেলার ১২৫ জন। আর এতে চট্টগ্রামে এপর্যন্ত করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৬ হাজার ৯৭৯ জন এবং এদের মধ্যে মারা গেছে ১৫২ জন ও সুস্থ হয়ে বাড়ি গেছেন ৮৭৯ জন। শেষ ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে মারা গেছে চার জন এবং সুস্থ হয়েছে ৮৫ জন। অপরদিকে উপজেলাগুলোর মধ্যে মিরসরাইয়ে একদিনে ২৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন।
সিভিল সার্জন থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুসারে, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে ২৭৯টি নমুনার মধ্যে ৭৪টি করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে। এই ৭৪ জনের মধ্যে ৩৩ জন মহানগরের এবং ৪১ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৬৮টি নমুনার মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ৬৪ জনের, এদের মধ্যে ৩১ জন নগরীর এবং ৩৩ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৩৩৪টি নমুনার মধ্যে ৬৫ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে, ৬৫ জনের মধ্যে ৫৯ জন নগরীর এবং ৬ জন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৫৪টি নমুনার মধ্যে ৫৯ জন পজিটিভ হয়েছে, এই ৫৯ জনের মধ্যে ১৯ জন মহানগরীর এবং ৪০ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের ৫২টি নমুনার মধ্যে ১৫ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে, এদের মধ্যে ১৩ জন মহানগরীর এবং ২ জন উপজেলার বাসিন্দা।
অপরদিকে কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে ৪ জনের নমুনার মধ্যে তিনজনের পজিটিভ পাওয়া গেছে এবং এদের সকলে উপজেলার বাসিন্দা।
উপজেলাগুলোতে আক্রান্ত হওয়া ১২৫ জনের মধ্যে লোহাগাড়ায় ৮ জন, সাতকানিয়ায় ১৩ জন, আনোয়ারায় ২ জন, চন্দনাইশে একজন, বোয়ালখালীতে ১২ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ৭ জন, রাউজানে ৯ জন, ফটিকছড়িতে ১৯ জন, হাটহাজারিতে ১৬ জন, সীতাকু-ে ১২ জন ও মিরসরাইয়ে ২৬ জন রয়েছেন।
এদিকে মঙ্গলবার নতুন করে ২৮০ জন করোনা শনাক্ত হওয়ায় মোট রোগীর সংখ্যা হলো ৬,৬৯৯ জন। এর আগে ২২ জুন ২১৭ জন, ২১ জুন ১৯২ জন, ২০ জুন ১৯৪ জন, ১৯ জুন ১৮৭ জন, ১৮ জুন ১৪৮ জন, ১৭ জুন ১৭৮ জন, ১৬ জুন ১৭৯ জন, ১৫ জুন ১৭১ জন, ১৪ জুন ১৫১ জন, ১৩ জুন ২৬৯ জন, ১২ জুন ২২২ জন, ১১ জুন ২০৭ জন, ১০ জুন ১০৮ জন, ৯ জুন ১১৩ জন, ৮ জুন ৯৯ জন, ৭ জুন ১০৬ জন, ৬ জুন ১৫৬ জন, ৫ জুন ১৪০ জন, ৪ জুন ১৩২ জন, ৩ জুন ১৪০ জন, ২ জুন ২০৬ জন, ১ জুন ২০৮ জন, ৩১ মে ১৬০ জন, ৩০ মে ২৩৭ জন, ২৯ মে ১৫৯ জন, ২৮ মে ২২৯ জন, ২৭ মে ২১৫ জন, ২৬ মে ৯৮ জন, ২৫ মে ১০৩ জন, ২৪ মে ৬৫ জন, ২৩ মে ১৬৬ জন, ২২ মে ১৬১ জন, ২১ মে ৯২ জন, ২০ মে ২৬০ জন, ১৯মে ১২৮ জন, ১৮মে ৫৪ জন, ১৭ মে ৭৩ জন, ১৬ মে ৭৫ জন, ১৫ মে ৬৮ জন, ১৪ মে শনাক্ত হয়েছিল ৬১ জন, ১৩ মে শনাক্ত হয়েছিল ৯৫ জন, ১২ মে ৭৫ জন, ১১ মে ৬৫ জন, ১০ মে ৪৮ জন, ৯ মে শনিবার ১৩ জন, মে শুক্রবার ১১ জন, ৭ মে বৃহস্পতিবার ভেটেরিনারিতে ৩৮ জন ও বিআইটিডিতে ১৯ জন ( কক্সবাজারে একজনসহ) করোনা শনাক্ত হওয়ায় একদিনে ৫৭ করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল চট্টগ্রামে। ৬ মে ১১ জন করোনা পজিটিভ হওয়ার আগে ৫ মে সোমবারের ভেটেরিনারি রিপোর্টের ১৩ জন, ৫ মে বিআইটিআইডি এর রিপোর্টে ৯ জন (ঢাকা, কুমিল্লা ও কক্সবাজার থেকে আসা তিনজন রোগী সহ), ৪মে ১৬ জন, ৩ মে ১৩ জন, ২ মে তিনজন, ১ মে তিনজন, ৩০ এপ্রিল একজন, ২৯ এপ্রিল ৪ জন, ২৮ এপ্রিল তিনজন, ২৭ এপ্রিল নয়জন, ২৬ এপ্রিল সাতজন ( রাজবাড়ী থেকে আসে একজন), ২৫ এপ্রিল দুই জন ( ঢাকা থেকে আসে একজন), ২৪ এপ্রিল একজন, ২২ এপ্রিল তিনজন, ২১ এপ্রিল একজন, ১৩ এপ্রিল চারজন, ১৮ এপ্রিল একজন, ১৭ এপ্রিল একজন, ১৬ এপ্রিল একজন, ১৫ এপ্রিল পাঁচজন, ১৪ এপ্রিল ১১ জন, ১৩ এপ্রিল দুইজন, ১২ এপ্রিল পাঁচজন, ১১ এপ্রিল দুইজন, ১০ এপ্রিল দুই জন, ৭ এপ্রিল তিনজন, ৫ এপ্রিল একজন ও ৩ এপ্রিল একজন আক্রান্ত হয়েছিল।