চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ
হটস্পটে কীটতত্ত্ববিদদের সার্ভে শুরু
নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে প্রতিনিয়ত বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। গত চব্বিশ ঘণ্টায় আরও আক্রান্ত হয়েছে ১১১ জন। চলতি বছরে এটিই একদিনে ভর্তি হওয়া সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন (চসিক) নগরীতে মশার প্রজননস্থল হিসেবে ৪৩৩টি হটস্পট চিহ্নিত করেছে। মশার প্রজনন এবং ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর হিসাব মতে নগরীতে ৪৯০টি হটস্পট রয়েছে। সেই হটস্পট এলাকায় সার্ভে শুরু করেছেন কীটতত্ত্ববিদরা। আগামী ১০ দিন বিভিন্ন জায়গা পরিদর্শন করে এর ভিত্তিতে প্রাপ্ত ফলাফল সিভিল সার্জন কর্তৃক জমা দেওয়া হবে। সেই রির্পোট মোতাবেক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
গতকাল রোববার সকাল ৮টার দিকে দিকে বহদ্দাদারহাট বাস টার্মিনাল থেকে এ সার্ভে শুরু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা কীটতত্ত্ববিদ এন্তেজার ফেরদাউস।
তিনি বলেন, নগরে যেসব এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেশি এবং মারা যাচ্ছেন সেই সব এলাকায় গিয়ে আমরা সার্ভে শুরু করেছি। আগামী ১০ দিন এই কর্মসূচি চলবে। আজকে ( ৯ জুলাই) বহদ্দারহাট এবং চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় গিয়ে সেখানে অনেক পজেটিভ পেয়েছি আমরা। বাস টার্মিনাল এলাকায় বেশি সংখ্যক পেয়েছি। টার্মিনালের পেছনে অনেকগুলো টায়ার জমা ছিলো। সেখানে অসংখ্য মশার লার্ভা পেয়েছি। এভাবে আগামী ১০ দিনে কোন এলাকায় বেশি রোগী, কেন বেশি, কি করণীয়সহ বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করা হবে। সেটা সিভিল সার্জনের স্যারের কাছে প্রদান করবো। পরে সেটা চসিকের কাছে যাবে এবং সেই সব এলাকায় জোরালো পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এ দিকে চব্বিশ ঘণ্টায় আরও ১১১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন। তার মধ্যে চমেক হাসপাতালে ১৩ জন, জেনারেল হাসপাতালে ১২ জন এবং অন্যান্য হাসপাতলে ৮৬ জন শনাক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে চলতি বছরে ৮৫৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
ডেঙ্গুতে জানুয়ারিতে ৫৬, ফেব্রুয়ারিতে ১১, মার্চে ৭, এপ্রিলে ১৩, মে মাসে ৩২, জুনে ২৮২ এবং জুলাইয়ে
এখন পর্যন্ত ২৯৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন।
কীটতত্ত্ববিদদের সার্ভে নিয়ে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘বৃষ্টি হওয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু। তবে তা এখনো নাগালের মধ্যে রয়েছে। সামনে আরও বাড়বে। আমরা উপজেলার প্রতিটি হাসপাতালে প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে বলেছি। নগরে কীটতত্ত্ববিদরা সার্ভে শুরু করেছেন। সেখান থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের উপর চসিক কাজ করবে। ’
সার্ভেতে অংশগ্রহণ করেন বিভাগীয় বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য কার্যালয়ের কীটতত্ত্ববিদ মফিজুল হক শাহ, জেলা কীটতত্ত্ববিদ এন্তেজার ফেরদাউস, বিভাগীয় পরিচালক স্বাস্থ্য কার্যালয়ের কীট – কুশলী মাকসুদুর রহমান এবং সিভিল সার্জনের কীট কুশলী সৈয়দ মো. মাইনুদ্দিন প্রমুখ।