চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, এই সরকার ক্ষমতায় আর বেশিদিন টিকে থাকতে পারবে না। তাদের সময়ে ফুরিয়ে এসেছে। গত ১৪ বছর ধরে জনগণের সম্পদ লুটেপুটে খেয়েছে। মেগা প্রকল্পের নামে মেঘা দুর্নীতির করে নিজেদের ভাগ্য উন্নয়ন করেছে। বাংলাদেশকে বিশ্ব দরবারে দুর্নীতিগ্রস্ত রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিত করেছে। তাদের এক এক নেতা আঙ্গুল ফুলের কলাগাছ হয়েছে। সম্পদের পাহাড় গড়েছে। তারা আবারও ক্ষমায় যাওয়ার জন্য বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা দিচ্ছে। বিএনপির গণজোয়ারকে তারা ভয় পায়। তারা প্রশাসনের উপর ভর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। প্রশাসনের উদ্দেশ্য করে বলতে চাই, পুলিশ জনগণের বন্ধু, শত্রু নয়। কিন্তু সরকার আপনাদেরকে জনগণের প্রতিপক্ষ করে রেখেছে। জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার রাজপথে সভা সমাবেশ করবে- এটা সাংবিধানিক অধিকার। কিন্তু সরকার ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য জনগণের এই সাংবিধানিক অধিকারকে বাঁধাগ্রস্ত করতে জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে আপনাদের ব্যবহার করছে, এটা আপনাদের বুঝতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনতে হবে, গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জাতীয়বাদী ছাত্রদলের সকল নেতা কর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এগিয়ে আসতে হবে।
তিনি গতকাল সোমবার বিকেলে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ৪৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে নগর ছাত্রদলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, এই সরকার একটি মামলাবাজ সরকার। বিএনপি চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ সিনিয়র নেতাদের বন্দী করে এই সরকার একটি ফ্যাসিবদী সরকারে পরিণত হয়েছে। চট্টগ্রাম নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে। আমরা এই সমাবেশ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।
প্রথম বক্তার বক্তব্যে আবুল হাসেম বক্কর বলেন, এই সরকার জনগণের সরকার নয়। দেশের মানুষের সকল গণতান্ত্রিক অধিকার রুদ্ধ করেছে। মামলা দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের জেল হাজতে পাঠাচ্ছে। কেউ এই সরকারের জুলুম নির্যাতন থেকে থেকে রেহাই পাচ্ছে না। ছাত্রদল চট্টগ্রাম মহানগর শাখার আহ্বায়ক সাইফুল ইসলামকে গ্রেফতার করে জঙ্গি স্টাইলে আদালতে আনা হয়েছে। আমরা বলতে চাই, নগর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কোন জঙ্গি সংগঠনের নেতা নয়। দক্ষিণ এশিয়ার সর্ববৃহৎ সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতা। তাকে এভাবে আদালতে উঠানো অত্যন্ত নিন্দনীয়। আমরা তার গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে মুক্তি দাবি করছি।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সদস্য সচিব শরিফুল ইসলাম তুহিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন, প্রধান বক্তা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর, বিশেষ অতিথি চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তী, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক বেলায়েত হোসেন বুলু, আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ফজলুল হক সুমন, যুগ্ম সম্পাদক জমির উদ্দিন নাহিদ, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক যথাক্রমে আসিফ চৌধুরী লিমন, সালাউদ্দিন সাহেদ, সামিয়াত আমিন জিসান, জিএম সালাউদ্দিন কাদের আসাদ, মাস্টার আরিফ, জহির উদ্দিন বাবর, আরিফুর রহমান মিঠু, শহিদুল ইসলাম সুমন, সাব্বির আহমেদ, এম এ হাসান বাপ্পা, রাজিবুল হক বাপ্পি, মাহমুদুর রহমান বাবু, ইসমাইল হোসেন, মো. আনাছ, জাহেদ হোসেন খান জসি, নুর নবী মহররম, নুর জাফর নাঈম রাহুল, ফখরুল ইসলাম শাহীন, সদস্য যথাক্রমে শামসুদ্দিন শামসু, শাহরিয়ার আহমেদ, দেলোয়ার হোসেন শিশির, মাহমুদুল হাসান রাজু, মোঃ এনামুল হক, আব্বাস উদ্দিন, রকি হোসেন পিচ্ছি সহ বিভিন্ন থানা, কলেজ ও ওয়ার্ড ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ।