সিইউএফএল হাউজিং কলোনীর বর্জ্য খোলা স্থানে, নষ্ট হচ্ছে পরিবেশ
সুমন শাহ্, আনোয়ারা:
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে যেখানে থাকতে বলা হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা সেখানে গড়ে উঠেছে খোলা স্থানে উন্মুক্ত ডাস্টবিন। প্রতিদিন ভোরে বা গভীর রাতে ভ্যান বা পায়ে হেঁটে বাসা, আশপাশের বাড়ি, চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা লিমিটেড (সিইউএফএল) এর হাউজিং কলোনী, অফিসসহ বিভিন্ন ব্যবহারের বর্জ্যগুলো এনে ফেলা হয় এখানে। দেখে মনে হবে যেন এক ময়লা আর্বজনার ভাগাড়, এই যেন উন্মুক্ত এক ডাস্টবিন। যত্রতত্র ফেলা হয়েছে ময়লা আর্বজনা। ময়লা ফেলার নির্ধারিত জায়গা ও ডাস্টবিন’র অভাবে আবর্জনার স’প তৈরি হয়েছে এ জায়গাটা। কেউ কোনো দিন পরিষ্কার বা সড়ানোর উদ্যোগও নেননি। এটি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার রাঙ্গাদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির দড়্গিণে পাশের শাহাদাত নগর এলাকার সড়কের ময়লার ভাগাড় গড়ে উঠেছে। দিন যতই যাচ্ছে সড়কের পাশে ময়লার স্তূপ ততই বড় হচ্ছে। বৃষ্টিতে বা বাতাসে হয়ে উঠছে বিষাক্ত পরিবেশ। নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসে উৎকট গন্ধে।
সোমবার বিকালে সরেজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে উপজেলায় গড়ে উঠা শিল্প কারখানা কাফকো, সিইউএফএল, কোরিয়ান কেইপিজেডের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বঙ্গবন্ধু টানেলের কর্মরত কর্মচারীরাসহ উপজেলার বারশত, রায়পুর, পারকি এলাকাসহ বিভিন্ন গ্রামগঞ্জের হাজারো মানুষের যাতায়ত। দূর দূরান্ত থেকে আসা পারকি সৈকতে পর্যটকদেরও যেতে হয় এ পথ দিয়ে। সড়কের পশ্চিমে, উত্তর ও দড়্গিণে রয়েছে বিভিন্ন ভাড়া বাসায় বসত করা লোকজন, অল্প গেলে রাঙ্গাদিয়া সিইউএফএল বাজার ও হাউজিং কলোনী। এখানে ময়লা ফেলতে সিইউএফএল হাউজিং কলোনী ছাড়াও বিভিন্ন স্থান থেকে ময়লা-আবর্জনা এনে এ এলাকায় সড়কের পাশে ফেলা হয় প্রতিনিয়ত।
প্রতিদিন ভোরে বা গভীর রাতে ভ্যান বা পায়ে হেঁটে বিভিন্ন মানুষের ব্যবহারের বর্জ্য গুলোও এখানে এনে ফেলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। কেনদিন স্থানীয় জন প্রতিনিধি বা প্রশাসন, সিইউএফএল কর্তৃপক্ষ ময়লা ফেলা বা পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেননি এবং করেনি কোনো সময়ে পরিষ্কারও। এখানে ময়লা ফেলতে ফেলতে এক সময় হয়ে উঠে পাহাড় সমান। বৃষ্টিতে বা বাতাসে হয়ে উঠছে বিষাক্ত পরিবেশ। বর্জ্যের মধ্যে পশু পাখিরা খুঁজেন খাবারও। আর পাখিদের খাবার খুঁজতে বেরিয়ে আসে দুর্গন্ধ। আর সে গন্ধে পরিবেশ হয়ে উঠে ভারী। ফলে ওইসব এলাকাসহ সড়কের পাশে এসব ময়লা-আবর্জনার স্তূপ থেকে দুর্গন্ধে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন পথচারীসহ বিভিন্ন যানবাহনে চলাচলরত যাত্রী এবং এসব এলাকার বসবাসকারীরা ও গার্মেন্টস শ্রমিকরা।
স্থানীয় বারশত ইউপি চেয়ারম্যান এম এ কাইয়ূম শাহ্ বলেন, এটি পানি উন্নয়নের বোর্ডের বেড়িবাঁধটি সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়। পাশের জায়গাটি সিইউএফএলের। দীর্ঘদিন ধরে এ জায়গাতে ময়লা ফেলে আসছে। এতে করে আশপাশের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। এ গুলো দ্রুত সরিয়ে ফেলার প্রয়োজন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম ইউরিয়া সার কারখানা লিমিটেড (সিইউএফএল) ব্যবস্থাপক পরিচালক প্রকৌশলী সুজিত কুমার মজুমদার বলেন, আমি সবে মাত্র নতুন যোগদান করেছি। এব্যাপারে তো কিছুই জানি না। তবে আমি খোঁজ নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেবো।