নিজস্ব প্রতিবেদক :
গত কোরবানির ঈদ থেকে কোন উৎসব ভাতা পাচ্ছেন না নগর পুলিশে কর্মরত ৯৭ জন বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী। তাদের দাবি, এর আগে প্রতিটি ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় উৎসবে তারা ভাতা পেয়ে আসছিলেন। এবার ঈদেও তারা উৎসব ভাতা পাবেন না। এতে তাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, নগর পুলিশে ৯৭ জন বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী রয়েছেন। তারা গাউছিয়া ট্রেডার্স নামে একটি কোম্পানির মাধ্যমে অস্থায়ীভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত। এর মধ্যে পুলিশ কমিশনারের বাসায় ৪জন, সিএমপির বিভিন্ন বিভাগের উপকমিশনাদের বাসায় ২জন করে কর্মরত। বাকিরা ১১টি পুলিশ মেস, ১০টি ট্রাফিক মেস ও ৬টি ব্যারাকে কর্মরত। বর্তমানে বাবুর্চি ১৭ হাজার ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ১৬ হাজার ৬০০ টাকা মাসিক বেতন পাচ্ছেন। তারা কোন উৎসব ভাতা পাচ্ছেন না।
নাম প্রকাশ না করে একজন বাবুর্চি বলেন, ঈদুল আযহা, ঈদুল ফিতর, দুর্গাপূজা, বাংলা নববর্ষসহ রাষ্ট্রীয় ও ধর্মীয় দিবসে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কর্মচারিদের উৎসব ভাতা দিলেও সিএমপির বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরেক পরিচ্ছন্নতাকর্মী বলেন, সারা বছর চাকরি করে বেতনটা শুধু পাই। সামনে ঈদ। পরিবারের লোকজনদের কিছু কিনে দিতে হবে। শুধু বেতনের টাকা দিয়ে উৎসব পালন করা কষ্টকর হয়ে পড়বে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে অনেক ঝুঁকি নিয়ে কাজে যেতে হয়।
গাউছিয়া ট্রেডাস এর মালিক মোহাম্মদ তানভীর বলেন, বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য উৎসব ভাতাটা দীর্ঘদিন ধরে চালু ছিল। কিন্তু গত বছর পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বন্ধ করে দেয়া হয়।
৯৭ জন কর্মচারিকে কাজ ভাগ করে দেয়ার জন্য সিএমপিতে কুকু চাকমা নামের এক উপ-পরিদর্শক কাজ করেন। তিনি বলেন, গত বছর থেকে বাবুর্চি ও পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের বেতন বাড়িয়ে দিয়ে পুলিশ হেড কোয়াটার উৎসব ভাতা বন্ধের প্রজ্ঞাপন জারি করে। যার কারণে তাদের উৎসব ভাতা দেয়া হচ্ছে না। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সিএমপি কমিশনার মোহাম্মদ মাহবুবর রহমান।