নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাকলিয়া বলিরহাটে দুই মেয়র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল বিকেলে হওয়া সেই সংঘর্ষে প্রায় ২০ জনের আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। বিএনপির অঙ্গ সংগঠন যুবদল এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের লোকজন আহত হয়েছেন।
জানা যায়, নগর যুবদলের সাংগঠনিক এমদাদুল হক বাদশার নেতৃত্ব যুবদলের উদ্যোগে বাকলিয়া ডিসি রোড থেকে ধানের শীষের গণসংযোগ শেষে খাজা রোড বলিরহাট ফার্নিচার মার্কেট সামনে পথসভা করে। সভা শেষ হওয়ার পর ছাত্রলীগের একটি টিম লিফলেট বিতরণ করতে একই এলাকায় এলে উভয় গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
এ বিষয়ে যুবদলের এমদাদুল হক বাদশা বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি শেষ করে চলে আসছিলাম। আমাদের সভায় প্রায় ৪০০ থেকে ৫০০ কর্মী ছিল। কিন্তু তখনই ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সম্পাদক এনামুল হক মানিকের নেতৃত্বে একটি দল আমাদের উপর পরিকল্পিত হামলা চালায়। এতে ইউনুছ নামে আমাদের একজন কর্মী গুরুতর আহত হন। আরো ১৪ জন কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে বাকলিয়া ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এনামুল হক মানিক বলেন, যুবদলের লোকজন আমাদের উপর অতর্কিতে হামলা চালিয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে লিফলেট বিতরণ করছিলাম। তাদের হামলায় আমাদের কর্মী সোহান, ওয়াজেদসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
এদিকে সংঘর্ষের পর এলাকায় পৌঁছে বাকলিয়া থানা পুলিশ। এ বিষয়ে বাকলিয়া থানার ওসি রুহুল আমিন বলেন, ‘ছাত্রলীগের নির্বাচনী প্রচারণায় যুবদলের লোকজন হামলা চালায়। এতে ছাত্রলীগের চার থেকে পাঁচ জন কর্মী আহত হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ছাড়া ঘটনার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও গিয়েছিলেন।’
উল্লেখ্য, নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। তবে মেয়র প্রার্থীর তুলনায় কাউন্সিলর প্রার্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেশি হচ্ছে।
এ মুহূর্তের সংবাদ