বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ আছে স্থানীয়দের। এবার সেই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ ঘটল চসিকের সাধারণ সভায়। রোববার সকালে লালদিঘি পাড় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ভবনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয় সাধারণ সভা। এতে ২৬ নং উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. ইলিয়াস আলী তার ওয়ার্ডে ওয়াসার পাইপলাইন বসানোর জন্য কেটে ফেলা সড়ক নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে ওয়াসার বিরুদ্ধে সাধারণ সভায় অভিযোগ করেন চসিকের এক নির্বাহী প্রকৌশলীও। এ সময় সভায় উপস্থিত ওয়াসার একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
কাউন্সিলর মো. ইলিয়াস আলীর ভাষ্য, হালিশহর বি ব্লক ৬ নম্বর লেইনটি কাটার পর ছয় মাস হয়ে গেছে। এখনো সলিং করেনি। ওয়াসাকে বারবার বলার পরও কাজ হচ্ছে না। আব্বাসপাড়া সংযোগ সড়ক কিছুদিন আগে ঢালাই করেছি। এখন আবার ওয়াসা কাটাকাটি করছে। সড়কটি যে তারা কাটবে তা আগে বললেই তো হতো।
তিনি বলেন, গত বছর বর্ষায় আমরা অনুরোধ করে বড় রাস্তা কাটা থেকে বিরত রেখেছিলাম। এবার কিন্তু বর্ষার মধ্যেই তারা সড়ক কাটছে। কাটার পর সড়ক ম্যাকাডম দিয়ে সলিং করে ঠিক করে দেওয়ার কথা। কিন্তু তারা মাটি দিয়ে ভরাট করে দেয়। ফলে বৃষ্টি হলে সেখানে গর্ত হয়ে যায়। ওয়াসা তো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে কাজ করায়। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ঠিকভাবে তদারকি করলে এমন সমস্যা হতো না।
কাউন্সিলরদের অভিযোগের যৌক্তিকতা আছে তাতে সন্দেহ নেই। তাদের ক্ষোভও যৌক্তিক। যার যার এলাকার জনগণের কাছে তাদেরকেই জবাবদিহি করতে হয়। তাই সাধারণ সভায় একাধিক কাউন্সিলর ওয়াসার প্রতি ক্ষোভ জানিয়ে বলেন, ওয়াসা নতুন সড়ক করার পর কেটে ফেলছে। চসিক সড়ক নির্মাণের সময় সড়কের নিচে ম্যাকাডম, বালু, ইট, পাথরসহ যেসব নির্মাণ সামগ্রী দেয় ওয়াসার ঠিকাদাররা রাস্তা কাটার পর তা নিয়ে যায় এবং কাজের পর সাধারণ মাটি দিয়ে গর্ত পূরণ করে দেয়। ফলে বর্ষার সময় সেই মাটি নিচু হয়ে রাস্তা চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। তা নাগরিকদের সীমাহীন দুর্ভোগের কারণ হয়। কাউন্সিলররা ওয়াসাকে কোনো রাস্তা কাটার আগে সংশ্লিষ্ট কাউন্সিলর ও নির্বাহী প্রকৌশলীকে অবহিত করতে ওয়াসা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
দুটি প্রতিষ্ঠানই সেবাধর্মী। নাগরিকসেবা নিশ্চিত করাই তাদের লক্ষ্য। ওয়াসাকেও কাজ করতে হয়। কাজের প্রয়োজনে সড়ক কাটতে হয়। তবে সড়ক কাটার আগে তাদের পরিকল্পনা আগে থেকে সিটি করপোরেশনকে অবহিত করলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। অথবা সড়ক কাটার পর তা দ্রুততম সময়ে মানসন্মতভাবে সংস্কার করে দিলে কেউ অভিযোগ করত না। এ বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে বলা হয়ে থাকলে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ কেন গা করছে না তার ব্যাখ্যা দেবে কে?