সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
দ্বিতীয় দিন যে সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছিল পরদিন সেটাকেই বাস্তবের রূপ দিলেন কাগিসো রাবাদা-আনরিক নরকিয়ারা। তাদের দারুণ বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতে পারলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যানরা। বোলিং সহায়ক উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা জিতল ইনিংস ব্যবধানে।১১ বছর পর ক্যারিবিয়ানে সফরে গিয়ে তিন দিনেই প্রথম টেস্ট জিতে নিয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে শনিবার প্রথম টেস্টে ইনিংস ও ৬৩ রানে জিতেছে সফরকারীরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এটি তাদের ইনিংস ব্যবধানে পঞ্চম জয়। প্রথম ইনিংসে ৯৭ রানে গুটিয়ে যাওয়া স্বাগতিকরা এবার থেমেছে ১৬২ রানে। কুইন্টন ডি ককের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করে ৩২২ রান। ক্যারিয়ারে দশমবারের মতো পাঁচ উইকেট নেওয়া রাবাদার বলে উড়ে যায় স্বাগতিকদের ইনিংস পরাজয় এড়ানোর আশা। আগের দিনই ৪ উইকেট নিয়ে জয়ের মঞ্চ তৈরি করে রেখেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে কতটা লড়াই করে স্বাগতিকরা তা ছিল দেখার। কিন্তু প্রতিপক্ষকে এতটুকুও ভাবাতে পারেনি তারা। বোলিং সহায়ক উইকেট, ছিল অসমান বাউন্স। এই উইকেটে ব্যাটিংয়ের জন্য যে চোয়ালবদ্ধ প্রতিজ্ঞা প্রয়োজন তা দেখাতে পারেনি ক্যারিবিয়ানরা। ৪ উইকেটে ৮২ রান নিয়ে দিন শুরু করা দলটি সপ্তম ওভারে হারায় জার্মেইন ব্ল্যাকউডকে। রাবাদার ফুল লেংথ বলে ড্রাইভ করে শর্ট কাভারে ধরা পড়েন তিনি। জেসন হোল্ডারকে দ্রুত ফেরান কেশব মহারাজ। সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝে এক প্রান্ত আগলে রাখেন রোস্টন চেইস। ১২২ বলে ফিফটি করার পর বেশিক্ষণ টিকেননি তিনিও। ৭ চার ও এক ছক্কায় ৬২ রান করে বোল্ড মহারাজের বলে।রাকিম কর্নওয়াল ও জশুয়া দা সিলভাকে ফিরিয়ে দেন রাবাদা। কর্নওয়াল ফেরেন দ্রুত। কিন্তু থিতু হয়েও দলকে টানতে পারেননি দা সিলভা। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষিক্ত জেডেন সিলসকে ফিরিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন নরকিয়া।অসাধারণ এক ইনিংস খেলে ম্যাচ সেরার পুরস্কার জেতেন দক্ষিণ আফ্রিকার কিপার-ব্যাটসম্যান ডি কক। খবর বিডিনিউজের।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ৯৭, দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংস: ৩২২, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: (আগের দিন ৮২/৪) ৬৪ ওভারে ১৬২ (চেইস ৬২, ব্ল্যাকউড ১৩, হোল্ডার ৪, দা সিলভা ৯, কর্নওয়াল ০, রোচ ১৩*, সিলস ৩; রাবাদা ২০-৯-৩৪-৫, এনগিডি ১৩-৩-৩১-০, নরকিয়া ১৪-৫-৪৬-৩, মুল্ডার ৬-১-১৮-০, মহারাজ ১১-৫-২৩-২)। ম্যান অব দা ম্যাচ: কুইন্টন ডি কক।