কক্সবাজার
নিজস্ব প্রতিবেদক, কক্সবাজার »
আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে পর্যটন নগরী কক্সবাজারের অধিকাংশ হোটেল, মোটেল-কটেজ ও রেস্টুরেন্টগুলো মেরামত ও নতুন করে সাজসজ্জার প্রস্তুতির কাজ প্রায়ই শেষ হয়েছে। ২ বা ৩ মে পবিত্র ঈদুল ফিতর হতে পারে। তার ১০ দিন আগেই হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে।
হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ বলেন, রমজানের শুরুতেই পর্যটক না থাকায় বহু হোটেল-কটেজে কর্মচারী ছাঁটাই করেছে। এতে পুরো রমজান ও ঈদে পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে দিনাতিপাত করছেন।
সৈকতের লাবণী পয়েন্ট ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাবিব উল্লাহ বলেন, রমজানের পর্যটক না থাকায় বেচাকেনা হয় না। তাই দোকান বন্ধ রাখা রয়েছে। তবে ঈদের পরে ব্যবসার জন্য আজ থেকে নতুন করে মালামাল উঠানোসহ প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।
কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন (টুয়াক) এর সভাপতি আনোয়ার কামাল বলেন, ‘পুরো রমজান মাস পর্যটক না থাকায় পর্যটন ব্যবসায়ীদের ব্যবসার মন্দ চলছে। তবে আসন্ন ঈদকে সামনে রেখে লাখের অধিক পর্যটক কক্সবাজারে সমাগম হবে। সম্প্রতি হোটেল-মোটেলেও প্রায় অর্ধেক শতাংশ কক্ষ ঈদের ১০ দিন আগেই বুকিং হয়েছে।
কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রতি বছরই রমজান মাসে পর্যটক তেমন থাকে না। এ সুযোগে হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসের সাজসজ্জার কাজ করা হয়। সম্প্রতি সাজসজ্জার প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষের দিকে। ঈদকে টার্গেট করে ইতোমধ্যেই হোটেল-মোটেল ও গেস্ট হাউসে ৪০ থেকে ৫০ শতাংশের বেশি কক্ষ বুকিং হয়ে গেছে। ঈদের আগের দিনগুলোতে বাকী কক্ষগুলোও বুকিং হতে পারে।
পর্যটন মৌসুম শেষ হলেও রমজানের পরে ঈদে লাখ লাখ পর্যটক আসার সম্ভাবনা রয়েছে কক্সবাজারে। তখন হয়তো কয়েকদিন ব্যবসা ভালো হবে।
শুধু হোটেল-রেস্টুরেন্ট নয়; রমজানের কারণে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসাগুলোও বন্ধ রয়েছে। বিশেষ করে সৈকত এলাকার ঝিনুক, আচার, মাছ ফ্রাই এবং কাপড়ের দোকানগুলো ৯০ শতাংশ বন্ধ রাখা হয়েছে।
কক্সবাজার ট্যুরিস্ট পুলিশের পুলিশ সুপার জিললুর রহমান জানান, প্রতিবছরের মত এ বছরও রমজান মাসে পর্যটকের উপস্থিতি কম। তবে ঈদের ছুটিতে পর্যটকের সমাগম ঘটবে। তাই পর্যটকের সেবা নিশ্চিত করতে এবং শৃংখলা রক্ষায় আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।