ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ চট্টগ্রামে ‘বৈশাখী মেলা ও লোকোৎসব’

সুপ্রভাত ডেস্ক »

‘সহজে সাম্যে ঐকতান’-এই মহতি স্লোগানকে সামনে রেখে ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, চট্টগ্রাম উদযাপন করেছে বাংলার চিরায়ত লোকোৎসব পহেলা বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ। এই বর্ষ বিদায় ও বরণ উৎসব বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নানা কলেবরে আয়োজন করা হয়। শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল চারু ও কারুশিল্পে সেজে উঠে প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ।

এ বৈশাখী মেলা ও লোকোৎসব শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ উপস্থিত সকলের অংশগ্রহণের মধ্যে দিয়ে সার্বজনীন উৎসবে পরিণত হয়।

আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয় সকাল নয়টায়। সকাল সাড়ে নয়টায় অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি এম এম ইস্পাহানি লি.-র রেক্টর ও প্রধান সমন¦য়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ মইনুল ইসলাম চৌধুরী ঘুড়ি উড়ানোর মাধ্যমে ‘বৈশাখী মেলা ও লোকোৎসব’ উদ্বোধন করেন।

উদ্বোধনের সময় অনুষ্ঠান সভাপতি অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ শাহীন আল রাজী, আয়োজক কমিটির আহবায়ক সহকারী অধ্যাপক আরিফুর রহমান, অতিথি তৌহিদা ইসলাম (রেক্টর সহধর্মিণী), প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সদস্যবৃন্দ, প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ, এম এম ইস্পাহানি লিমিটেডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্যবৃন্দ, নগরের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ, কলেজ ও স্কুল শাখার শিক্ষকবৃন্দ, কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন শেষে অতিথিবৃন্দ বৈশাখী মেলায় বরাদ্দকৃত টঙ (স্টল) পরিদর্শন করেন।

সকাল দশটায় মির্জা মেহেদি ইস্পাহানি ভবন মিলনায়তনে (নিচ তলায়) লোকোৎসবের সাংস্কৃতিক পর্ব শুরু হয়। মঞ্চে অতিথিদেরকে ফুল দিয়ে বরণ ও উত্তরীয় প্রদান করা হয়। এ সময় স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন অনুষ্ঠানের আহবায়ক।

‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ কালজয়ী এ গানের মধ্যে দিয়ে শিক্ষার্থীদের মনোজ্ঞ পরিবেশনা আরম্ভ হয়। দেশাত্মবোধক গান, লোকসংগীত, লোকনৃত্য ও রকমারি মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় প্রতিষ্ঠান প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, শিল্পী ও গবেষক ড. শেখ সাদী। দর্শকদের অনুরোধে তিনি লোকসংগীত পরিবেশন করেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে ইস্পাহানি পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের এ আয়োজনের ভূয়সী প্রশংসা করেন এবং এ প্রতিষ্ঠানের ন্যায় অন্য প্রতিষ্ঠানগুলো এভাবে সহপাঠ্যক্রমিক কার্যক্রম পরিচালনা করলে শিক্ষার্থীদের সৃষ্টিশীল মেধা বিকাশে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন।

দুপুর দুইটায় বৈশাখী মেলায় শ্রেষ্ঠ টঙ উদ্যোক্তাদের পুরষ্কার প্রদান করা হয়। এরপর অনুষ্ঠানের সভাপতি অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) আহমেদ শাহীন আল রাজী আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নতুন প্রজন্মকে ধারণ ও প্রতিপালন করার আহবান জানিয়ে এবং বিশ্ব্ শান্তি প্রতিষ্ঠায় সংস্কৃতি চর্চার গুরুত্ব আরোপ করে বর্ষ বিদায় ও বরণ উৎসবের সমাপণি ঘোষণা করেন।