সুপ্রভাত ডেস্ক »
কয়েকদিন আগেই পরীমনি ও তার স্বামী শরীফুল রাজ জ্বর এবং ঠান্ডায় আক্রান্ত ছিলেন। সেসময় বাড়িতেই থাকতে হয় তাদের। সুস্থ হয়ে প্রায় দুই সপ্তাহ পর বাসা থেকে বের হন তারা। ইলিশের টানে ছুটে যান মাওয়া ঘাটে। পরীমনি জানান, রাতের সেই বেড়ানোটা ছিল বেশ আনন্দের।
সেই ভ্রমণ নিয়ে পরীমনি বলেন, অসুস্থতার কারণে অনেকদিন বাসায় ছিলাম। এ কারণে দম বন্ধ হয়ে আসছিলো। হুট করেই সিদ্ধান্ত নেই মাওয়া যাবো, আর কথা মতোই সেই কাজ। পারিবারিক কয়েকজন বন্ধু এবং রাজকে নিয়ে চলে যাই সেখানে। যাওয়ার পথে ফাঁকা রাস্তায় কয়েক জায়গায় নেমেছি, অনেক ছবি তুলেছি। আর মাওয়া যাব আর ইলিশ খাব না, তা কি হয়? ইলিশের কয়েকটা পদ খেয়েছি।
এখন থেকে অনেক সতর্ক জীবন যাপন করছেন পরীমনি। চিকিৎসকের পরামর্শমতো চলছেন। ছায়ার মতো তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন রাজ। পরীমনি বলেন, রাজের ভালোবাসার ঋণ শোধ করা কঠিন। সব সময়ই আমাকে ছায়া দিয়ে রেখেছে সে। অনেক কেয়ার করে। প্রায়ই আমাকে খাইয়ে দেয়। এই যে কিছুক্ষণ আগে কালো ভুনা দিয়ে ভাত খাইয়ে দিয়েছে।
অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার পর পরীমনি নিজেই বলেছিলেন, আগামী দেড় বছর কোনো কাজ করবেন না। এ কারণে তার হাতের ছবিগুলো আটকে যাওয়ার শঙ্কায় পড়েছিলেন পরিচালক-প্রযোজকেরা। বিষয়টি পরিষ্কার করে পরীমনি বলেন, চয়নিকা চৌধুরীর ওয়েব সিরিজ ‘কাগজের বিয়ে’ শেষ করলাম। অরণ্য আনোয়ারের ‘মা’ সিনেমার বাকি কাজও শেষ করব আশা করছি।