সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক »
টেস্ট ক্রিকেটে নতুন ইতিহাস লিখলো পাকিস্তান। গর্বের নয়, লজ্জার ইতিহাস। মুলতান টেস্টে ইংল্যান্ডের কাছে ইনিংস ব্যবধানে হেরে অস্বস্তিকর এক রেকর্ডের সাক্ষী হলো পাকিস্তান। টেস্ট ক্রিকেটের ১৪৭ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দল প্রথম ইনিংসে ৫০০+ রান করেও ইনিংস ব্যবধানে হারলো। মুলতানে প্রথম ইনিংসে ৫৫৬ রান করে পাকিস্তান। জবাবে ৭ উইকেটে ৮২৩ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করে ইংল্যান্ড। এতে ২৬৭ রানের লিড পায় ইংলিশরা। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে মাত্র ২২০ রানে অলআউট হয়ে গেছে পাকিস্তান। এতে ইনিংস ও ৪৭ রানের জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
এশিয়ার দলের বিরুদ্ধে এ নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ইনিংস ব্যবধানে জিতলো ইংল্যান্ড। এর আগে ১৯৭৬ সালে ভারতকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়েছিল ইংলিশরা। পাকিস্তান টেস্ট ক্রিকেটের লজ্জাজনক হারের রেকর্ড করতে যাচ্ছে, তা অনুমান করা গেছে চতুর্থ দিনেই। ৮২ রানে ৬ উইকেট হারানোর পর মনে হয়েছে, এই টেস্ট পঞ্চম দিনেও গড়াবে না। যদিও সালমান আলি আগা ও আমের জামালের জুটিতে সেটি হয়নি। ফলে জয়ের অপেক্ষা বেড়েছে ইংল্যান্ডের। ৬ উইকেটে ১৫২ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে পাকিস্তান। সালমান আগা ও আমের জামাল চতুর্থ দিনের ৭০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিকে শতরাতে (১৪৬ বলে ১০৯ রান) রূপ দেন। তবে ইনিংস ব্যবধানে হার এড়াতে পারেননি তারা। জ্যাক লিচের ঘূর্ণিতে প্রথম সেশনেই এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়েন সালমান আগা। ৮৪ বলে ৬৩ রান করেন সালমান। এরপর ১০ রান করা শাহিন শাহ আফ্রিদিকেও নিজের হাতের ক্যাচ বাানান লিচ। ইংলিশ স্পিনারের বলে স্টাম্পড হন নাসিম শাহ (৬ বলে ৩)। অসুস্থ থাকার কারণে মাঠে নামতে পারেননি আবরার আহমেদ। এ আগে দ্বিতীয় ইনিংসের প্রথম বলেই পাকিস্তান ওপেনার আব্দুল্লাহ শফিকের (১ বলে ০) স্টাম্প উপড়ে ফেলেন ইংলিশ পেসার ক্রিস ওকস। আরেক পেসার গাস অ্যাটকিনসন তুলে নেন শান মাসুদের উইকেট। জ্যাক ক্রাউলির হাতে ক্যাচ হয়ে ২২ বলে ১১ রানে সাজঘরে ফেরত যান পাকিস্তান অধিনায়ক। ব্যর্থতার খোলস থেকে বের হতে পারেননি বাবর আজম। মাত্র ৫ রানে (১৫ বলে) তাকে বেঁধে ফেলেন অ্যাটকিনসন। ১২তম ওভারের শেষ বলে জেমি স্মিথের হাতে ক্যাচ হন বাবর। পরের ওভারের প্রথম বলেই ওপেনার সাইম আইয়ুবকে তুলে নেন ব্রাইডন কার্স। ৩৫ বলে ২৫ রান করে বেন ডাকেটের হাতে ধরা পড়েন বাঁহাতি ব্যাটার। প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ানও। ১৯ বলে ১০ রান করা রিজওয়ানের স্টাম্প ভেঙে দেন কার্স। ম্যাচ ধরার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন সউদ শাকিল। লিচের ঘূর্ণিতে স্মিথের হাতে ক্যাচ হওয়ার আগে ৩৩ বলে ২৯ রান করেন তিনি। ৮২ রানে ৬ উইকেটের পতন হয় পাকিস্তানের। ইংল্যান্ডের হয়ে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসে ৩০ রানে ৪ উইকেট নেন লিচ। আর ২টি উইকেট শিকার করেন গাস অ্যাটকিনস ও ব্রাইডন কার্স।