নিজস্ব প্রতিবেদক »
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই তাদের দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন করেছে। কিন্তু এ তালিকার বাইরে থেকেও কেউ কেউ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করার কথা ভাবছেন। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামও সেই পরীক্ষায় অবতীর্ণ হওয়ার কথা ভাবছেন বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
আপনি তো এবার নির্বাচন করছেন
আবদুচ ছালাম : আমাদের নেত্রী (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বলেছেন সবাইকে ইলেকশন করার জন্যে। এখন নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে দেখি কারা কি বলেন। নেত্রীর কাছ থেকে গ্রিন সিগনাল চলে এসেছে, ওনার ইনস্ট্রাকশান (নির্দেশনা) চলে এসেছে। আমাদের নেত্রী ইতিমধ্যে বলে দিয়েছেন, পার্টির যে কেউ ইলেকশন করতে পারবেন, ইট ইজ ওপেন নাউ (এটা এখন উন্মুক্ত)। এখন ইলেকশন হবে ম্যান টু ম্যান অর্থাৎ প্রার্থীর সঙ্গে প্রার্থীর। এরপর যারা জয় নিয়ে আসতে পারেন তারাই তখন নেতৃত্বে আসবেন।
তবুও নির্বাচনে অংশগ্রহণের ব্যাপারে আপনার নিজস্ব কি চিন্তা-ভাবনা রয়েছে
আবদুচ ছালাম : আমি নেতাকর্মীদের পরামর্শের বাইরে কিছু করতে পারি না। যারা ভোট পরিচালনা করবেন তারা কী বলে দেখি। এটা নেত্রীর আদেশ, নেত্রীর আদেশ শুধু আমার জন্যে নয় সব জায়গায় সবার জন্যেই প্রযোজ্য। যারা সব দিক বিবেচনায় যোগ্য, যাদের সক্ষমতা আছে তারা যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করেন তাহলে তো নেত্রীর নির্দেশনা অমান্য করা হবে।
এমনিতে আপনি তো নির্বাচনের জন্যে প্রস্তুত আছেন
আবদুচ ছালাম : আমি তো ২০০৮ সাল থেকেই প্রস্তুত রয়েছি।
তাহলে আপনার নির্বাচনে অংশগ্রহণের নিশ্চয়তা কতটুকু?
আবদুচ ছালাম : এ ব্যাপারে আমি বলবো, নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ সালাপ হচ্ছে। আমাদের নেতানেত্রী, দলীয় কর্র্মী যারা আছেন তারা যদি বলেন-সালাম ভাই ইজ এ বেস্ট ক্যানডিডেট, নেত্রীর আদেশ মতে সালাম ভাইয়ের ইলেকশন করা প্রয়োজন ভোটারের কারণে। ভোটার আসতে হবে, ভোটার আনতে হবে। ভোটার আসা এবং ভোটার আনা সেটা যদি আমার নেতাকর্মীরা বলে যে, আপনি দাঁড়ালে ভোটার আসবে, আমাদের নেত্রীর আদেশ আপনাকে পালন করতেই হবে। তখন আমি চেষ্টা করবো আমার নেত্রীর আদেশ পালন করার।