সুপ্রভাত ডেস্ক »
রুশপন্থী বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন দুই অঞ্চলকে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দিয়েছে রাশিয়া। সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত ডিক্রিতে স্বাক্ষর করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
স্থানীয় সময় সোমবার রাতে রাশিয়ার টেলিভিশন চ্যানেলে এক দীর্ঘ ভাষণে পুতিন ইউক্রেনের ওই দুই অঞ্চলকে স্বাধীন বলে ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাস করি, অবিলম্বে দোনেৎস্ক ও লুহানস্কর স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য একটি দীর্ঘমেয়াদী সিদ্ধান্তের প্রয়োজন।”
অঞ্চল দুটিকে স্বাধীন ঘোষণার পর সেখানে ‘শান্তি বজায়’ রাখতে সৈন্য মোতায়েন করতে চায় রাশিয়া। আর এজন্য আজ সকালে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।
দীর্ঘ বক্তব্যে পুতিন ইউক্রেনের সম্পর্কে বলেন, এটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোনি যেটা ‘পুতুল সরকারের’ মাধ্যমে চলছে।
তিনি বলেন, “ইউক্রেন কোন দিনই প্রকৃত রাষ্ট্র ছিল না এবং আধুনিক ইউক্রেন রাশিয়ার দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে।”
ইউক্রেনকে নেটোর সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ধারণাকে তিনি রীতিমত আক্রমণাত্মক ভাবে বলেন “এটা সরাসরি রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য হুমকি”।
ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তি দেন, নেটো রাশিয়ার নিরাপত্তার বিষয়টা আমলে নেয়নি।
ভাষণ শেষ করার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন যে রাশিয়াপন্থী বিদ্রোহীদের দখলে থাকা অঞ্চলগুলোকে স্বীকৃতি দেবে রাশিয়া।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইউক্রেনকে বিদ্রোহীদেরকে লক্ষ্য করে গুলি করা বন্ধ করতে হবে, না হলে এর পরিণতি মোকাবেলা করতে হবে।
এর কিছু পরেই বিদ্রোহী অঞ্চলকে স্বীকৃতি দিয়ে তিনি দুইটা ডিক্রিতে সই করেন। সেখানে বলা হয়েছে রাশিয়ার সেনাবাহিনী সেখানে “শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত থাকবে”।
তবে “শান্তিরক্ষার কাজে নিয়োজিত” থাকার অর্থ আসলে কী – সেটি নির্দিষ্ট করে বলেনি রাশিয়া। কিন্তু রাশিয়া এবং ইউক্রেনের বিশ্লেষকরা বলছেন, পুতিন এখন “আনুষ্ঠানিকভাবে” ইউক্রেনের বিদ্রোহী এলাকাতে রুশ সৈন্য পাঠাতে পারবে।
এদিকে হোয়াইট হাউজ বলছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সঙ্গে কথা বলেছেন এবং রাশিয়ার সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়েছেন।
সূত্র : বিবিসি