সুপ্রভাত ক্রীড়া ডেস্ক :
প্রথম টি-টোয়েন্টি ভেস্তে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে দুরন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা দু’দলের মধ্যে। প্রথমে ব্যাট করে চার উইকেট হারিয়ে ১৯৫ রান করে পাকিস্তান। দলে ফিরেই ৩৬ বলে ৬৯ রানের ইনিংস উপহার দেন মহম্মদ হাফিজ। ওপেন করে ৪৪ বলে ৫৬ রান করেন বাবর আজমও। জবাবে কলকাতা নাইট রাইডার্সের অন্যতম ভরসা অইন মরগানই ইংল্যান্ডের জয়ের নায়ক। ৩৩ বলে ৬৬ রান করেন তিনি। পাঁচ উইকেটে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
আইপিএলের নিলামে ৫.২৫ কোটি টাকা দিয়ে ইংল্যান্ড অধিনায়ককে নেয় কলকাতা নাইট রাইডার্স। আন্দ্রে রাসেল, প্যাট কামিন্সের সঙ্গে তিনিই দলের অন্যতম ভরসা। রবিবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তার ঝোড়ো ইনিংস কেকেআর শিবিরে আশীর্বাদ হয়ে উঠতে পারে। কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রম বলে দিলেন, ‘মরগানের মতো দুর্দান্ত ক্রিকেট মস্তিষ্ক কিন্তু সবার নেই। যখনই দলের প্রয়োজন, একা রান করে প্রমাণ করে দেয় ও। এটাই একজন অধিনায়কের উদাহরণ।’
রোববার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে টস জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন অধিনায়ক মরগান। পাকিস্তানের ১৯৫ রানের জবাবে শুরুতে জনি বেয়ারস্টোর ঝোড়ো ইনিংস বিপক্ষের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। পাওয়ারপ্লেতে ছয় ওভারে বিনা উইকেট হারিয়ে ৬৫ রান তোলে বেয়ারস্টো ও টম ব্যান্টনের জুটি। জয়ের ভিত গড়ে দেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের ওপেনার। ব্যান্টন ২০ রানে ফিরে গেলেও রানের গতি কমাননি বেয়ারস্টো। ২৪ বলে ৪৪ রান করেন তিনি।
বেয়ারস্টো ও ব্যান্টনের ওপেনিং জুটির ছন্দ বজায় রাখেন দাউয়িদ মালান (অপরাজিত ৫৪) ও মরগান। ১১২ রানের জুটি গড়ে বিপক্ষের জয়ের আশা শেষ করে দেন তারা।
মুহাম্মদ হাফিজের ব্যাটিংয়ে খুশি আক্রম। বলেছেন, ‘যে কোনও ফর্ম্যাটে অভিজ্ঞতার দাম রয়েছে। সেটা হাফিজের ব্যাটিং দেখে বোঝা যায়।’
তবে তিনি উদ্বিগ্ন মুহাম্মদ আমিরের ছন্দ নিয়ে। দ্বিতীয় ম্যাচে দু’ওভারে ২৫ রান দেন তিনি। আকরামের কথায়, ‘সীমিত ওভারের ক্রিকেটে আমির আমাদের অন্যতম ভরসা। সে ব্যর্থ হলে দলের উপর প্রভাব পড়বেই।’ খবর : আনন্দবাজার’র।
খেলা